শনিবার, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা কবি: রাফাত আহমেদের সৃজনশীল যাত্রা

চবি প্রতিনিধি – মেহেদী হাসান ইমন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যস্তময় প্রাঙ্গণে, যেখানে নিত্যনতুন ধারণার স্রোত বয়ে চলে এবং উদীয়মান মনগুলো আলো ছড়ায়, সেখানেই রাফাত আহমেদ এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন। সমাজতত্ত্ব বিভাগের এই ছাত্র কেবলমাত্র একাডেমিক উৎকর্ষে সীমাবদ্ধ নন; তার ব্যতিক্রমী কাব্য প্রতিভা ও সৃজনশীল চিন্তাধারা তাঁকে সবার কাছে বিশেষ করে তুলেছে। রাফাতের কবিতা শুধুই শব্দের ব্যবহার নয়, বরং মানবমনের গভীর থেকে উঠে আসা ভাবনার এক বৈপ্লবিক বহিঃপ্রকাশ। তার প্রতিটি কবিতা পাঠকের হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলে যায় এবং তাদেরকে জীবনের প্রকৃত সৌন্দর্যকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার সুযোগ এনে দেয়।
তাঁর কিছু কবিতা থেকে:-
পৃথিবী কেবল দুঃখজনক সৃষ্টি,
স্রেফ সমুদ্রে তাই পাওয়া যায় কান্নার স্বাদ।”
কিংবা
“মৃত্যু মূলত বাদ্যযন্ত্র
এঁকে বাজিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে জীবন.”

রাফাতের কবিতার এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো তার প্রতিফলনশীলতা ও অন্তর্দৃষ্টি। সাধারণ জীবনের ছোট ছোট মুহূর্তগুলোকে তিনি তার কবিতায় এমনভাবে ফুটিয়ে তোলেন যে তা পাঠকের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। তার সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা ও চিন্তার গভীরতা তার লেখায় অনন্য এক মাত্রা যোগ করে, যা তার কবিতাগুলিকে সবার কাছে সহজেই পৌঁছে দেয়। রাফাত কেবল কবিতা লেখাতেই সীমাবদ্ধ থাকেন না, তিনি কবিতাগুলোকে মঞ্চে জীবন্ত করে তোলেন তার উজ্জ্বল উপস্থাপনার মাধ্যমে। আবৃত্তির সময় তার প্রতিটি কবিতায় তিনি এমন এক অভিব্যক্তি যোগ করেন যা শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রাখে। তার এই উপস্থাপনা ক্ষমতা তাকে অন্যান্যদের থেকে আলাদা করে তোলে এবং তার পরিচিতির ক্ষেত্রকে আরও বিস্তৃত করে।

কবিতার বাইরেও রাফাতের মেধা ও মননের চেতনা সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে। একজন একনিষ্ঠ পাঠক হিসেবে তিনি সর্বদা নতুন কিছু শেখার জন্য আগ্রহী। নতুন ধারণা ও জ্ঞান অন্বেষণের প্রতি তার অদম্য উৎসাহ তাকে তার সহপাঠীদের মধ্যে আলাদা করে তুলেছে। সৃজনশীলতা, মেধা এবং জ্ঞানের প্রতি তার অগাধ ভালোবাসার মিশ্রণ তাকে এক প্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বিভিন্ন সংগঠনে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ তার দায়িত্বশীলতা এবং নেতৃত্ব দানের ক্ষেত্রে সফলতার প্রমাণ দেয়। এ সমস্ত সংগঠনের মাধ্যমে তিনি কেবল নিজের জ্ঞান ও প্রতিভা সমৃদ্ধ করছেন না, বরং সবাইকে নিয়ে একটা নতুন সমাজ,সৃজনশীল বিকাশের স্বপ্ন দেখছেন।

বাংলাদেশের কিছু যুগান্তকারী কাজের পেছনেও রাফাতের অবদান অসামান্য। তার সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তি একটি নতুন ধারা সৃষ্টি করতে যাচ্ছে, যা তাকে দেশের সীমানার বাইরে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও পরিচিত করছে। বিভিন্ন সংগঠনে একজন ডিপ্লোম্যাট হিসেবে তার কার্যকলাপ এবং অবদান তাকে আন্তর্জাতিক মহলে সমাদৃত করেছে। তার জ্ঞান অনুসন্ধানের যাত্রা শুরু হয়েছিল তার পিতা রেজওয়ানুল হক বিশ্বাসের প্রেরণায়। পিতার প্রেরণা ও সহানুভূতি থেকেই রাফাত জীবনে এগিয়ে যাওয়ার একটা অনুপ্রেরণা পেয়েছেন এবং তার বর্তমান সাফল্যের যাত্রার পেছনে এই শক্তির অবদান অনস্বীকার্য।

রাফাত আহমেদ কেবল একজন কবি নন; তিনি একাধারে একজন চিন্তাবিদ এবং উদ্ভাবনী মনের অধিকারী। তার সৃজনশীল ও অনুসন্ধিৎসু মন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি থেকে পৌঁছে যাক পৃথিবীর কাছে । সকলেই প্রত্যাশা করেন, রাফাতের এই যাত্রা শুধু তার পরিচিতজনদের হৃদয়ে নয়, বরং দেশের মানুষের জন্য এক অনুপ্রেরণার স্মৃতি হয়ে থাকবে। তার কর্ম, কবিতা ও নেতৃত্ব ভবিষ্যতের প্রজন্মকে প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করবে এবং তার উদ্ভাবনী চিন্তা তরুণদের জন্য এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গির পথ উন্মোচন করবে।

সর্বাধিক পঠিত