নিজেকে বিএনপি’র কর্মী দাবী করে অপকর্মের চেষ্টা: সর্তক বার্তা দিলেন পৌরবিএনপি’র নেতা

কক্সবাজার রিপোর্ট
প্রেক্ষাপট পরিবর্তের পর অনেক দোসর রং পাল্টে বিএনপি’র মধ্যে আশ্রয় নেওয়া চেষ্টা করছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে নির্যাতীত নিপিড়ীত কর্মী হিসেবে উপস্থাপন করছে। বিএনপি’র বিভিন্ন নেতা কর্মীও সাথে ছবি তুলে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে নানা তকবীর-বানিজ্য আর অপকর্ম চালাচ্ছে। এমনই একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যার নাম হাসান উল্লাহ। এই হাসান উল্লাহর বিরুদ্ধে দলের সবাইকে সর্তক হতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টের মাধ্যমে সর্তকবার্তা প্রকাশ করেছে কক্সবাজার পৌরবিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) মুহাম্মদ ছুরত আলম। এই পোস্টের কমেন্টে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি’র নাম ব্যবহার করা হাসান উল্লাহর বিরুদ্ধে।
মুহাম্মদ ছুরত আলমের দেওয়া পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ‘সকলের জ্ঞাতার্থে সতর্কবার্তা নিম্নে ছবি সম্বলিত ব্যক্তিটির নাম হাসান উল্লাহ পিতা আবদুল হাই, ১১ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ বাহারছড়া,কক্সবাজার পৌরসভা। সম্প্রতি আমাদের পৌর বিএনপির কাছে নির্ভরযোগ্য কিছু অভিযোগ আসছে যে, তিনি উল্লেখিত ব্যক্তি হাসান উল্লাহ আমাদের বিএনপি’র বিভিন্ন নেতাদের সাথে ছবি তুলে বিএনপি’র নিপিড়ীত নির্যাতীত কর্মী বলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে শুরু করে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে বিএনপির নেতৃবৃন্দের দোহাই দিয়ে তকবীর বাণিজ্য করে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। এই বিষয়ে কক্সবাজার পৌর বিএনপির সম্মানিত আহবায়ক জনাব আলহাজ্ব রফিকুল হুদা চৌধুরী ও সদস্য সচিব জনাব মোহাম্মদ আবুল কাসেম এর সুস্পষ্ট বক্তব্য বর্তমানে কক্সবাজার পৌর ১১ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ শাখা বিএনপি কমিটি বিলুপ্ত আছে। এছাড়া ও হাসান উল্লাহ ১১ নং ওয়ার্ড দক্ষিণের প্রাথমিক সদস্য পদ সহ কোন পদেই ছিলেন না এবং পৌর বিএনপির ২৩ টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডের কোন ওয়ার্ডের ও তিনি পদধারী নেতা বা সদস্য ও নন কক্সবাজার পৌর বিএনপির সাথে তার কোন সম্পর্ক বা সংশ্লিষ্টতা নেই। আমাদের কক্সবাজার পৌর বিএনপি’র সর্বশেষ বার্তা নিম্নে উল্লেখিত ব্যক্তি যদি বিএনপির নেতার নাম ব্যবহার করে যে কোন তকবীর বা বাণিজ্য অপকর্ম করে থাকে তার দায় কক্সবাজার পৌর বিএনপি নিবেনা। এই ব্যপারে তার নিকট থেকে সবাইকে সর্তক থাকা এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে কোন ধরনের বিভ্রান্ত না হওয়ার, পাশাপাশি তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করার আহবান জানাচ্ছি’।
এই পোস্টের কমেন্টে ফারুক আজম নামে একজন লিখেছেন, ‘দক্ষিণ বাহারছড়া ১১ নং ওয়ার্ডেও হাসান উল্লাহ পিতা আবদুল হাই। নিজ বাড়ি নোয়াখালী হওয়ার সুবাদে এতোদিন ওবায়দুল কাদেরের আত্মীয় ছিলেন। এখন পটপরিবর্তনের পর দপ্তরে-দপ্তরে বিএনপির নেতাদেও সঙ্গে ছবি তুলে তা নিয়ে নিপিড়ীত কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে দলেন মান ক্ষুন্ন করছেন বলে অভিযোগ অনেকের।
রিয়াজ উদ্দিন নামে একজন লিখেছেন, ১১ ওয়ার্ড বিএনপি’র উচিৎ তাকে প্রতারণার দায়ে প্রশাসনের হাতে দেওয়া। এরশাদ রায়হান নামে একজন লিখেছেন, উনিতো ওবায়দুল কাদেরের কাছে মানুষ এত বছর শুনেছি। আবার বিএনপি কিভাবে হল। মোহাম্মদ আবু ছৈয়দ নামে একজন লিখেছেন ওখানে আগে কখনো দেখিনি। নুরুল ইসলাম লিখেছেন বয়কট করতে হবে। এসব ছাড়াও অনেকে অভিযোগ তোলেছেন হাসান উল্লাহ নামে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
জেলা বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা বলছেন যারা কঠিন সময়ে দলের সাথে ছিল তাদের সঠিক মূল্যায়ন করা হোক। কেউ রং বদলে সুবিধা নিতে দলের নাম ব্যবহার করলে তার কাছ থেকে সর্তক থাকার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।