শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫

অ-ব্যবস্থাপনায় পর্যটন মোটেল; পরিদর্শনে রিজিয়ন কমান্ডার

এম মহাসিন মিয়া (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি।

খাগড়াছড়িতে আকষ্মিক পর্যটন মোটেল পরিদর্শন করেছেন, খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান।

সোমবার দুপুরে তিনি আকষ্মিক বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশ কতৃক পরিচালিত জেলা সদরস্থ পর্যটন মোটেল পরিদর্শন করেন। এ সময় সাথে ছিলেন, খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের জিএসও-২ মেজর মো. জাবির সোবহান মিয়াদ।

এ সময় তাঁরা পর্যটন মোটেলের প্রতিটা কক্ষ ঘুরে দেখেন। মোটেলের চরম অব্যবস্থাপনা দেখে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এসব অব্যবস্থাপনার জন্য কতৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করেন।

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন একটি বাণিজ্যিক সংস্থা। দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সংস্থাটির অগ্রণী ভূমিকা থাকলেও খাগড়াছড়ি পর্যটক মোটেলের চরিত্র উল্টো। জেলার বেসরকারি হোটেল-মোটেলগুলো ব্যবসায় লাভ করলেও খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেল গত ৬মাসে লোকসান গুনেছে ৫০ লাখ টাকা।

স্থানীয়রা বলছেন, কতৃপক্ষের উদাসীনতা, অব্যবস্থাপনা ও গাফিলতির কারনেই ছন্দ হারিয়েছে খাগড়াছড়ি পর্যটক মোটেল। এক সময়ের নান্দনিক পরিবেশ বান্ধবের পর্যটক মোটেল এখন সৌন্দর্য হারিয়ে থমকে গেছে প্রায়। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আশা পর্যটকগণ নান্দনিক পরিবেশ না থাকায় বেসরকারি হোটেল-মোটেল গুলোতে ভীড় জমাচ্ছেন।

খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলকে দৃষ্টিনন্দিত ও আকর্ষণীয় করে আগের মতো লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান।

তিনি বলেন, খাগড়াছড়ির বেসরকারি হোটেল-মোটেলগুলো যেখানে ব্যবসায় লাভ করছে সেখানে পর্যটক মোটেল কেন অ-লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে তার কারণ জানতে চান।

এ সময় খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ব্যবস্থাপক উত্তম কুমার মজুমদার, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি তরুণ ভট্টাচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম প্রফুল্ল ও সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম রাজুসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত রবিবার বেসরকারি টেলিভিশন বাংলাভিশনের জিডিটাল প্ল্যাটফর্মে “চরম অ-ব্যবস্থপনায় খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেল; লোকসানের পাহাড়” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

সর্বাধিক পঠিত