চিটাগং ট্রিবিউন ডেস্ক
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক ইসলামি দলগুলো একটি বৃহত্তর ‘নির্বাচনি সমঝোতা’ তৈরির চেষ্টা করছে। জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি ইসলামি দল এই প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। যদিও কেউ কেউ এটিকে নির্বাচনি জোট গঠনের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখাচ্ছেন, তবে বড় দলগুলো মূলত ‘সমঝোতার’ রূপেই এগোতে চায়।
ইসলামি ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা
ইসলামি দলগুলোর নেতারা বলছেন, দেশের জনগণ বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি শক্তিশালী ইসলামপন্থি প্ল্যাটফর্ম চায়। স্বাধীনতার পর থেকে বড় দলগুলোর কার্যক্রমে হতাশ জনগণ এখন ইসলামি আদর্শে পরিচালিত নেতৃত্বের দিকে ঝুঁকছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক নেতা জানান, “আমরা বিভিন্ন ইসলামি দল ও ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মতবিনিময় করছি। উদ্দেশ্য, ইসলাম, দেশ ও মানবতার ভিত্তিতে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা।”
জামায়াতের ভূমিকা ও প্রক্রিয়া
জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “সরকারের তরফ থেকে এখনও নির্বাচনি রোডম্যাপ আসেনি। যখন এসব প্রকাশিত হবে, তখনই সমঝোতার রূপ পরিস্কার হবে।”
কওমি মাদ্রাসার নেতৃত্ব ও বৈঠক
সম্প্রতি ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি বড় মাদ্রাসায় ইসলামি দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে জামায়াতসহ ইসলামি দলগুলোকে এক প্ল্যাটফর্মে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অতীতের সব মতভেদ ভুলে ঐক্য গড়ে তুলতে তারা প্রস্তুত।
নির্বাচনি সমঝোতার সম্ভাব্য রূপ
ইসলামী আন্দোলনের এক নেতা জানান, “সম্ভবত এটি একটি নির্বাচনি সমঝোতা হবে, জোট নয়। দলীয় প্রতীক ব্যবহার না করে আসনভিত্তিক সমঝোতার দিকেই ঝোঁক রয়েছে।”
কওমি মাদ্রাসার বাইরে সুফি ও তরিকতপন্থি দলগুলো এখনও কোনো নির্বাচনি উদ্যোগ নেয়নি। তবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দল এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
ভবিষ্যৎ কীভাবে নির্ধারিত হবে?
সবকিছু নির্ভর করছে সরকারের ঘোষিত নির্বাচনি রোডম্যাপের ওপর। তবে ইসলামি দলগুলোর নেতারা বিশ্বাস করেন, জনগণের চাহিদার ভিত্তিতে এক ধরনের ঐক্যের পথে তারা এগিয়ে যাবে।