বশিরুজ্জামান, ঈদগাঁও উপজেলা
কক্সবাজার জেলার অন্যতম বাণিজ্যিক নগরী ঈদগাঁও বাজার তথা ঈদগাঁও বাসস্টেশন। সেই সাথে এটি বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ পর্যটন নগরী কক্সবাজারের প্রবেশদ্বার। প্রতিদিন ঈদগাঁও বাসস্টেশনের বুকচিরে চলে যায় ঢাকা-চট্রগ্রাম থেকে কক্সবাজার আবার কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম-ঢাকা সহস্রাধিক যানবাহন। সেইসাথে ঈদগড়-বাইশারী, শিয়াপাড়া-দরগাহপাড়া, ইসলামাবাদ ও ইসলামপুর থেকে আসা মিনিটমটমগুলো চতুর্মুখী সংঘর্ষে জ্যামের জটবেঁধে মেইন রোড় তথা ঈদগাঁও বাসস্টেশনে আটকে থাকে ফলে ৩মিনিটের রাস্তার যানজট পার হতে সময় লাগে ৩০মিনিট। এ সময় কঠিন দুর্ভোগ আর ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ যাত্রী ও পথচারীদের। যার দরুন নির্দিষ্ট সময়ে তারা তাদের গন্তব্যস্থানে পৌঁছাতে পারেন না, সঠিক সময়ে শিক্ষার্থীরা পৌঁছতে পারে না স্কুল, কলেজ কিংবা মাদ্রাসায়। অসুস্থ রোগীরা পৌঁছতে পারে না হাসপাতালে। প্রয়োজনীয় কাজে বের হওয়া মানুষগুলো পৌঁছতে পারে না বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে, ব্যক্তিগত কাজ ও পারিবারিক প্রয়োজনে ফলে নানা দুর্ভোগের শিকার হতে হয় পথচারী তথা যাত্রীদের।
কক্সবাজার জেলা মাইক্রোবাস ও কার মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ হোছাইন আলী আজকের দেশবিদেশকে জানান, গত ২০ বছরে যেই পরিমান মানুষ ও গাড়ির সংখ্যা বেছে তার একইঞ্চি পরিমানও রাস্তার প্রস্থ বাড়েনি। ফলে রাস্তার চেয়ে যানবাহনের সংখ্যা অনকেগুণ বেশি। ঈদগাঁও বাসস্টেশন হচ্ছে চতুর্মুখী জনশন তাই সবসময় যানজট লেগে থাকে। যদি রাস্তার প্রস্থ বড় করে বা চার লেন করে কিংবা চকরিয়া বাসস্টেশনের মতো বক্স সিস্টেম করে তাহলে যানজট নিরসন হবে।
ঈদগাঁও বাসস্টেশনের প্রবীণ ব্যাবসায়ী নুরুল হুদা সওদাগর আজকের দেশবিদেশকে জানান, সময়ের প্রয়োজনে সবকিছুর পরিবর্তন হলেও এই ঈদগাঁও বাসস্টেশনের আরকান সড়কের কোন পরিবর্তন হয়নি। ফলে গণমানুষ ও যানবাহনে সংখ্যার কাছে সড়ক ছোট তাই সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। সময়ের প্রয়োজনে রাস্তা চার লেন করে অতিদ্রুত সময়ে বাসস্টেশনের যানজট দূরীকরণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।
উল্লেখ্য, যানজটের কারণে ঈদগাঁও বাসস্টেশনে ৩ মিনিটের সড়কটি পার হতে ৩০ মিনিট সময় লেগে যায়। ফলে দীর্ঘ যানজটের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের। তাই ঈদগাঁও বাসস্টেশনের অনিয়ন্ত্রিত যানজট নিরসন ও দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত সময়ের মধ্যে চার লেন সম্প্রসারণ এখন সময়ের দাবী।