বশিরুজ্জামান, ঈদগাঁও উপজেলা প্রতিনিধি:

ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড যেনো মাদকের এক স্বর্গরাজ্য। এলাকাবাসীরা জানান স্থানীয় ও বহিরাগত কিছু বখাটে মিলে এখানে অপরাধের রাজত্ব কায়েম করছে। দিনদুপুরে কিংবা রাতের আঁধারে চলছে মাদক সেবন। বসছে জুয়াড়িদের আড্ডা। এ নিয়ে একদিকে এলাকায় বাড়ছে অপরাধ কর্মকান্ড অন্যদিকে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন স্থানীয়রা।

১০ই মার্চ সোমবার সরেজমিনে দেখা যায় ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ভাদিতলা ও দরগাহপাড়ায় কিছু স্থানীয় ও বহিরাগত মাদকসেবী ও বখাটে ছেলেদের নানান অপরাধ কর্মকান্ড বেড়েই চলছে। কথায় কথায় বাজি কিংবা জুয়াতে ব্যাস্ত যুবসমাজ। দিনদুপুরে রাস্তার পাশে মাদক সেবন, ইস্কুল কিংবা মাদ্রাসা ফেরত মেয়েদের ইভটিজিং, চুরি, ডাকাতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে এলাকার যুবকেরা। এ নিয়ে স্থানীয় সচেতনমহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

স্থানীয় ভুক্তভোগী নূর মোহাম্মদ জানান, ৭ই মার্চ সেহেরির সময় বখাটেরা তার ঘরের দরোজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ রেখে টিউবওয়েল চুরি করে নিয়ে যায়। তাদের উশৃংখল আচরণ ও অশ্লীল ব্যবহারের জন্য তাদের প্রতিহত করার সাহস কেউ দেখায় না। এমতাবস্থায় এলাকার শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায়করত মাদকমুক্ত সমাজ বিনির্মানে প্রশাসনের সহযোগিতায় কামনা করেন।

ভাদিতলার এক সচেতন নাগরিক জানান, এলাকায় উঠতি বয়সের অসংখ্য যুবক মাদকাসক্তে সম্পৃক্ত হয়ে দিনদিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ইয়াবা সেবন ইভটিজিং চুরি ডাকাতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে। এসবের জন্য মা, বাবা ও স্থানীয় জনগণ দায়ি বলে মনে করি। প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আপনারা এলাকায় বখাটে যুবকদের ব্যপারে খোঁজ খবর রাখুন প্রয়োজনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা নিয়ে মাঠে কাজ করুন। এতে এলাকায় মাদকাসক্ত ও ইভটিজার কমে যাবে বলে মনে করি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঈদগাঁও থানার (ওসি) মো. মছিউর রহমান বলেন মাদকসহ সকল প্রকার অপরাধের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান।