কক্সবাজারে বিআইডব্লিউটিএ’র কাজে হামলা–অবরোধ: আদনান ও হান্নান সাউদসহ ৯ জন নামীয়, আরও ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করে মামলা

চিটাগং ট্রিবিউন ডেস্ক
কক্সবাজারে বাঁকখালী নদীর উচ্ছেদকৃত প্রায় ৬৩ একর জমিতে বিআইডব্লিউটিএ’র সীমানা পিলার স্থাপন কার্যক্রমে হামলা, বাধা ও সড়ক অবরোধের ঘটনায় সমাজকর্মী আদনান সাউদ ও তার ভাই হান্নান সাউদসহ মোট ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৩০০–৪০০ জন অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এই মামলা দায়ের করেন কক্সবাজার (কস্তুরাঘাট) নদী বন্দরের বিআইডব্লিউটিএ পোর্ট অফিসার মোঃ আব্দুল ওয়াকিল।
মামলায় নামীয় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—
অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি ও জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসমাইল, ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আব্দুল খালেক চেয়ারম্যান, অ্যাডভোকেট সৈকত দে, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইউসুফ, অ্যাডভোকেট সাইফুদ্দিন খালেদ এবং উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনালের কর্মচারী মোহাম্মদ আজাদ।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে,
গত ৭ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে কস্তুরাঘাট এলাকায় সীমানা পিলার স্থাপন চলছিল। এই সময় নামীয় আসামিদের নেতৃত্বে প্রায় ৩০০–৪০০ জন নারী-পুরুষ সেখানে জড়ো হয়ে মব সৃষ্টি, টায়ার জ্বালানো, গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ, কুরুচিপূর্ণ স্লোগান, সরকারি কাজে বাধা, ককটেল বিস্ফোরণ ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তোলে।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের সৃষ্টি করা সহিংস পরিস্থিতির কারণে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে সেদিনের সীমানা পিলার স্থাপন কার্যক্রম স্থগিত করতে হয়।
এরও আগের দিন ৬ ডিসেম্বর, আসামিরা বাদীর অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে তার ও পরিবেশ উপদেষ্টার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ শ্লোগান দিতে দিতে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভ মিছিল করে।
বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে বাঁকখালী নদী পুনরুদ্ধারকৃত জমি পুনঃদখল রোধে পিলার স্থাপন অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু অসাধু চক্রের বাধা সেই কার্যক্রমকে বারবার বিঘ্নিত করছে।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৭, ১২৬, ১৮৮, ৩০৭, ৩৫৩ ও ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে এবং আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।