প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ১, ২০২৫, ৩:০১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ৫, ২০২৫, ৮:৩৫ অপরাহ্ণ
চকরিয়া থানার ভেতর মামলার আসামি নিয়ে পুলিশের বিচার বাণিজ্য
চকরিয়া প্রতিনিধি
কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় থানার ভেতর মামলার এক আসামি নিয়ে পুলিশ এক সালিশ বৈঠক করেছেন। ওই আসামির নাম মো. আলা উদ্দিন (৩৫)।
তিনি ২০২৪ সালের ৯ নভেম্বর চকরিয়া মাতামুহুরী সেতুর পূর্বপাশে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে (টমটম) গাড়ীতে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তিনি মামলার ৭৫ নম্বর আসামি।
আলা উদ্দিন ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের পুকপুকুরিয়া গ্রামের মোহাম্মদ হোসনের ছেলে ও আওয়ামী লীগ ক্যাডার। মামলার বাদী লক্ষ্যারচরের চর পাড়ার আবদুল মতলবের ছেলে জসীম উদ্দিন।
জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় চকরিয়া থানার তৃতীয় তলায় সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) আলা উদ্দিন একটি সালিশ বৈঠক করছিলেন। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আলা উদ্দিন। বৈঠকে এএসআই আলা উদ্দিন আওয়ামীলীগ ক্যাডারেরপক্ষ হয়ে সালিশের অন্য পক্ষকে ঘায়েল করতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে থানায় সেবা নিতে আসা এক সেবাপ্রার্থী অভিযোগ করেন, ৫আগস্ট পটপরিবর্তনের পর মো. আলাউদ্দিন থানায় ঘোরাঘুরি শুরু করে। থানার এসআই ও এএসআইয়ের সোর্স হিসেবে কাজ করছেন। থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের মামলার তদবির করার অভিযোগ রয়েছে। এ সুযোগে থানায় সেবা নিতে আসা লোকজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। পুলিশের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন আসামি থেকে টাকা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ভাগবাটোয়ারা করে। এমনি পুলিশের সঙ্গে অবস্থান করে অভিযানে তথ্য আসামি ও সন্ত্রাসীদের কাছে তথ্য পাচার করছেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে আলোউদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার নাম্বারে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চকরিয়া থানার এএসআই আলাউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নতুন এসেছি। আলা উদ্দিন মামলার আসামি, তা আমার জানা ছিল না।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার জানান, আলো উদ্দিনকে হুঁশিয়ারি করে দিয়েছেন থানায় না ঢুকতে। ওসির দাবি, থানার পুলিশ অফিসারদের বলে দেয়া হয়েছে তার সাথে কোন সখ্যতা না রাখতে।##
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত