চবি প্রতিনিধি- মেহেদী হাসান ইমন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকার পাবলিক ডিপ্লোমাসি সেকশনের উদ্যাগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) 'যুক্তরাষ্ট্রে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম এবং উচ্চ শিক্ষার সুযোগ' বিষয়ক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন চবি উপাচার্যকে 'আমেরিকান কর্ণার' তৈরির প্রস্তাব করেন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধি দল।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত চবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।  

এসময় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকার পাবলিক এনগেজমেন্টের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ব্রেন ফ্লানিগান ও পাবলিক এনগেজমেন্ট স্পেশালিস্ট রায়হানা সুলতানা এবং প্রেস এন্ড মিডিয়া স্পেশালিষ্ট রিকি সালমিনা সেমিনারটি পরিচালনা করেন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চবি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আলাউদ্দিন মজুমদার, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুজিত কুমার দত্ত এবং যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক।  

ব্রেন ফ্লানিগান বলেন, আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার এসেছি। খুবই সুন্দর এই বিশ্ববিদ্যালয়। আজকে এখানে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকদের উপস্থিতিতে আমরা খুবই আনন্দিত।

প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থায়নে শতাধিক শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে থাকে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ১৩ হাজার ৫০০ বাংলাদেশী শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে।

পাবলিক এনগেজমেন্ট স্পেশালিস্ট রায়হানা সুলতানা সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম নিয়ে তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা এমন একটি বিনিময় নিয়ে বলছি, যেখানে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত উন্নয়ন নয় বরং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির আদান-প্রদান হয়। ১৯৪৬ সাল থেকে এই বিনিময় শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সম্মানজনক এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম হলো 'ফুলব্রাইট'। কেউ যদি ফুলব্রাইটের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে তাহলে পৃথিবীর সকল প্রোগ্রামের জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। সেজন্য আজকে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে।  

চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার এই বিনিময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে এই প্রতিযোগিতাপূর্ণ জায়গা দখল করতে হলে।  

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধি দলটি চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং চবিতে একটি আমেরিকান কর্ণার তৈরির প্রস্তাব করেন। পরবর্তীতে ইউএস এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম এবং যুক্তরাষ্ট্রে অন্যান্য অ্যাকাডেমিক ও পেশাগত উন্নয়নের সুযোগের প্রস্তুতির বিষয়ে চবি শিক্ষার্থীদের একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়।