
ট্রিবিউন ডেস্ক :
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে আগামী ৯ ডিসেম্বর অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতি ও প্রশাসনিক প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে—অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোর্শেদুল হক তার স্ত্রী সুলতানা তানজিমা খানমের নিয়োগ নিশ্চিত করতে তদবির চালাচ্ছেন। অভিযোগের একটি দিক হলো, তিনি নিজেকে জামায়াতপন্থি পরিচয় দিয়ে প্রশাসনিক প্রভাব প্রয়োগ করছেন। এর আগে একই বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফলাফল ও মূল্যায়নে পারিবারিক সম্পর্কের প্রভাব নিয়ে বিতর্কও ছিল।
নিয়োগ প্রক্রিয়ার তদারকিতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক মোঃ আলাউদ্দিন মজুমদারকে, যাঁর তত্ত্বাবধানে মোর্শেদুল হক বর্তমানে পিএইচডি করছেন। একাডেমিক ও গবেষণাগত নির্ভরশীলতার এই অবস্থায় নিয়োগে ন্যায্যতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা সম্ভব কি না—এটি প্রশ্নের মুখে।
অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ ইউসুফের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে—তিনি তার মেয়ে ঈসরানা তাসনিমের নিয়োগ নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক প্রভাব প্রয়োগ করছেন। এর আগে তার মেয়েকে সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্যও চাপ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছিল।
শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা প্রশ্ন তুলেছেন, “একাডেমিক প্রতিষ্ঠানগুলো কি পারিবারিক সম্পর্ক ও প্রশাসনিক ক্ষমতার প্রভাব থেকে মুক্ত রয়েছে, নাকি এটি যোগ্য ও মেধাবী প্রার্থীদের জায়গা দখল করছে?” প্রার্থীরা সতর্ক করেছেন, স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা না থাকলে নিয়োগ প্রক্রিয়া, প্রতিযোগিতা এবং শিক্ষার নৈতিক মান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
