সোমবার, ডিসেম্বর ১, ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় ‘স্পিরিট পানে’ ৬ মৃত্যু: কবর থেকে তোলা হল ৪ জনের লাশ

চিটাগং ট্রিবিউন ডেস্ক
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় ‘স্পিরিট পানে’ ছয়জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে চারজনের মরদেহ আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. হোসেন আলী জানান, মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার পৃথক চারটি গ্রাম থেকে লাশগুলো তোলা হয়।
মৃতরা হলেন- সদর উপজেলার পিরোজখালি গ্রামের লাল্টু হোসেন (৫২), খেজুরা গ্রামের মোহাম্মদ সেলিম (৪৫), নফরকান্দি গ্রামের খেদের আলী (৪০) ও শঙ্ককরচন্দ্র গ্রামের শহিদুল মোল্লা (৪৫)।
পরিদর্শক হোসেন আলী বলেন, “গত ৯ অক্টোবর রাতে সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকার কয়েকজন শ্রমিক এক সঙ্গে মদ পান করে। পরে ১১ অক্টোবর অসুস্থ হয়ে মারা যায় চার জন। সেদিনই তাদের মরদেহ গোপনে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করে পরিবারের লোকজন।
“পরদিন ১২ অক্টোবর মারা যায় আরও দুজন। তখন বিষয়টি জানাজানি হয় এবং পুলিশ ওই দুজনের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে।”
তিনি বলেন, “এ ঘটনার পর বিষাক্ত মদ বিক্রির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ফারুক আহমেদ (৪০) নামের এক জনকে আটক করে পুলিশ।
“পরে এ ঘটনায় ১৩ অক্টোবর মৃত লাল্টুর ছোট ভাই রকিবুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩০৪ ধারায় মামলা করেন। পরে ফারুককে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।”
পরিদর্শক হোসেন আলী বলেন, “আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন হওয়া চার জনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। সেগুলো চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।”

সর্বাধিক পঠিত