শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫

চোর ধরিয়ে দেওয়ায় ইউপি সদস্যের উপর হামলা

নিহারেন্দু চক্রবর্তী,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ১৩ নং ধরমন্ডলের ইউপি সদস্য ও বিনপির ওয়ার্ড সভাপতি জাহিদ মিয়ার উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (৩০ অক্টোবর)সকালের দিকে ধরমন্ডল এলাকার কাদিরের বাড়ির সামনে হামলার শিকার হন ইউপি সদস্য জাহিদ। সেসময় হামলাকারীরা ৭/৮ জন হত্যার উদ্যেশ্যে হামলা করে তার বুকে ও পিঠে ছুরিকাঘাত চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বলে অভিযোগ করেন জাহিদ মিয়া ।
জানা যায়,আনুমানিক তিন মাস আগে ধরমন্ডল গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়াকে একটি ছাগল চুরির ঘটনায় সন্দেহজনক ভাবে আটক করে স্থানীয়রা। পরে এই ঘটনায় ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহিদ মিয়া সালিসের জন্য রুবেলকে ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সালিসের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা হয়। পরবর্তীতে এরই জের ধরে বুধবার ইউপি সদস্য জাহিদ মিয়ার উপর হামলা করে শফিক মিয়ার লোকজন।

জাহিদ মিয়া বলেন ওই সালিশে ছাগল চোরের পক্ষে কেন সুপারিশ করিনাই এজন্য চোরের পিতা কুদ্দুছ মুন্সীর ছেলে শফিক মিয়ার নেতৃত্বে তার পুত্রগণ সহ ৭-৮ জনের একটি দল সকাল সাড়ে দশ ঘটিকার সময় আমার উপর স্বশস্ত্র হামলা চালায়। এসময় তারা আমাকে প্রানে মারার উদ্দ্যেশ্যে মাথায়, পিঠে, কোমরে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে উপর্যোপোরি ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।

পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন জানান, মূলত শফিক মিয়া বিভিন্ন অপরাধ, চেইন চুরি ও মাদক সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত । সে এবং তার সিন্ডিকেটের দাপটে এলাকার মানুষ অতিষ্ট এবং মানুষ নিরাপত্ত্বহীনতায় ভোগে। এছাড়াও একজন নির্বাচিত ইউপি সদস্যকে যদি এভাবে হামলা করা হয় তাহলে মানুষের মাঝে আস্থার সংকট হবে। এজন্য প্রশাসনের এই বিষয়টি শক্ত হাতে দমন করা দরকার এবং তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জানান, ঘটনা শুনেছি,এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বাধিক পঠিত