শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় চবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আনন্দ-উল্লাস

ছাত্রলীগের নিষিদ্ধকরণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক পরিবর্তনের আশা জাগিয়েছে, যা ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন পথ খুলে দেবে।

আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নিষিদ্ধকরণের খবরটি চবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানার পরে, তারা রাতের অন্ধকারে একত্রিত হয়ে আনন্দ উল্লাস ও মিষ্টিমুখ করেন । তাদের মিছিলে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়, “একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা বস্তায় ভর। ছাত্রলীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না।” আরো নানা ধরনের স্লোগান তারা দিয়ে আনন্দ উল্লাস করেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি এখন কিছুটা পরিবর্তিত হচ্ছে। ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের মুক্তির অনুভূতি তৈরি হয়েছে। তারা আশাবাদী যে, ক্যাম্পাসে নতুন করে শিক্ষা ও সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা ও কর্মকাণ্ড শুরু হবে, যা তাদের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ তৈরি করবে।

জিরো পয়েন্টে উল্লাসরত শিক্ষার্থী খান তালাত মাহমুদ রাফি (নাট্যকলা) চট্টগ্রাম ট্রিবিউন কে বলেন, “আজ সারা দেশে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এই সংগঠন জুলাই এর গণহত্যা সাথে সরাসরি জড়িত। আমার অনেক ছাত্র ভাই-বোন কে তারা হত্যা করছে, সেই জন্য বাংলাদেশ সরকার তাদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করায়। আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই আনন্দ মিছিল করেছি।”

আরেক শিক্ষার্থী নাসিম সরকার ( ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি) চট্টগ্রাম ট্রিবিউনকে বলেন,
“জুলাই এর গণহত্যা আমাদের ভুলবার নয়, শত শত মায়ের বুক খালি হয়েছে বিগত গণঅভ্যুত্থানে, আর আমরা সবাই জানি, এই গণহারে গনহত্যা চালিয়েছে, ফ্যাসিস্ট সরকারের অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আজ সারা দেশে সন্ত্রাসী লীগ কে নিষিদ্ধ করায়, আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী অত্যন্ত আনন্দিত, আমরা আমাদের আনন্দ মুহুর্ত সকলের সাথে ভাগ করে নিয়েছি। ”

জুলাই মাসের গণহত্যা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে, এবং তারা ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি নির্দেশ করছে যে, নতুন পরিবর্তনের জন্য শিক্ষার্থীরা প্রস্তুত এবং তারা এই সুযোগটি গ্রহণ করতে সচেষ্ট।

সর্বাধিক পঠিত