জুলাই গণ অভ্যুত্থানের বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে লংগদু জামায়াতের গণমিছিল ও সমাবেশ

তাজ মাহমুদ, লংগদু রাঙ্গামটি
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ ৫ আগস্ট,২০২৫, মঙ্গলবার বিকাল ৫ টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লংগদু উপজেলা স্থানীয় মাইনীমুখ বাজারে গণমিছিল ও সমাবেশ করে।
দলের উপজেলা আমীর মাওলানা মোঃ নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জব্বারের পরিচালনায় গনমিছিলোত্তর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মিছিলোত্তর সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা এএলএম সিরাজুল ইসলাম, এসিসট্যান্ট সেক্রেটারি মোঃ শিহাব উদ্দীন, শ্রমিক কল্যান বিভাগের উপজেলা সভাপতি মোঃ মঞ্জুরুল হক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শুরা ও কর্ম পরিষদ সদস্য ছিদ্দিকুর রহমান খোকন, ওছমান গণি, মাওলানা ফয়েজ আহমদ, মোঃ আশরাফুল আলম।
সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে লংগদু উপজেলা আমীর মাওলানা মোঃ নাছির উদ্দীন বলেন, ‘বিগত ২৪ সালের এই দিনে ছাত্র-জনতার মহাজাগরণে তৎকালীন স্বৈরশাসক ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা তিনি তার দাদার বাড়িতে পালিয়ে যান। সেখান থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করতে তিনি নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। বাংলার জনগণ খুনি হাসিনার উপযুক্ত বিচার চান। এ স্বৈরশাসক জামায়াত এবং শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেও মহাজাগরণ ঠেকাতে পারেনি। অভ্যুথান পরবর্তী সময়ে দেশে উল্টা তার দল ও অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়ে গেছে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী কাজের জন্য। আজ তারা দিল্লিতে বসে কর্মীদের জঙ্গি প্রশিক্ষন দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, কোন ফ্যাসিস্ট সরকার পালিয়ে গিয়ে দেশে আর কখনো ফিরে আসতে পারে নাই। এই ঐতিহাসিক সত্য বাংলাদেশেও তারই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে ইনশাআল্লাহ।
ফ্যাসিস্টদের সকল ষড়যন্ত্র ব্যার্থ করে দিতে সাধারন জনতার দল হিসেবে জামায়াত-শিবির সদা তৎপর। প্রয়োজনে জনগণকে সাথে নিয়ে আবারো বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেবে, তবুও দেশ নিয়ে আর কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না।