প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫, ৮:০৮ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ১৭, ২০২৫, ৩:৫৪ অপরাহ্ণ
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২বিজিবি)’র অভিযানে ১লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার
মোহাম্মদ তোফাইল, টেকনাফ
মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে আবারও বড় সাফল্য পেয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ ১৭ জুন ২০২৫ তারিখ টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) একটি বিশেষ অভিযানে ১ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে। মাদক চোরাচালান রোধে বিজিবির অবিচল অবস্থানের এটি আরেকটি দৃষ্টান্তমূলক সাফল্য।
সাম্প্রতিক সময়ে বর্ষা মৌসুমের প্রতিকূল আবহাওয়ার সুযোগ নিয়ে মিয়ানমার থেকে নাফ নদী পেরিয়ে কেওড়া বাগানের আড়াল ব্যবহার করে ইয়াবা পাচারের প্রবণতা বেড়ে গেছে। এ প্রেক্ষিতে সীমান্তবর্তী বেড়িবাঁধে বিজিবির টহল ও গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়।
বিজিবির নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, আজ ভোররাত আনুমানিক ১টা ১৫ মিনিটে টেকনাফ উপজেলার আদমের জোড়া ও নোয়াপাড়া বিএসপি সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এলাকা দিয়ে মাদক পাচারের পরিকল্পনা রয়েছে। তথ্যের ভিত্তিতে লেদা বিওপি ও নোয়াপাড়া বিশেষ ক্যাম্প থেকে একাধিক টহল দলকে নদীতীরবর্তী কৌশলগত এলাকায় মোতায়েন করা হয়।
রাত গভীর হলে বিজিবি সদস্যরা দেখতে পান, দুইজন ব্যক্তি চুপিসারে বেড়িবাঁধ অতিক্রম করার চেষ্টা করছে। তাদের সন্দেহভাজন মাদক পাচারকারী মনে হলে বিজিবি সদস্যরা চারদিক থেকে ধাওয়া করে। পাচারকারীরা নদীর পাড়ের জলমগ্ন কেওড়া বাগানে ঢুকে পড়ে। পরে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের নেতৃত্বে পুরো এলাকা ঘিরে রেখে দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় নদীর তীরবর্তী কেওড়া জঙ্গল থেকে পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া দুটি বিশেষভাবে মোড়কজাত বস্তা উদ্ধার করা হয়। সেগুলো থেকে মোট ১,১০,০০০ (এক লক্ষ দশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়।
তবে অভিযানে কোনো অপরাধীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তারা রাতের আঁধারে নদী সাঁতরে মিয়ানমারে পালিয়ে যায়।
জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় সব আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বিজিবি জানিয়েছে, সীমান্তে সব ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ রুখতে তারা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে অটল রয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা এবং সীমান্ত সুরক্ষায় তাদের এই কঠোর অবস্থান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত