চিটাগং ট্রিবিউন ডেস্ক
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলায় কোরবানির পশুর পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছেন খামারি ও কৃষকরা। চাহিদার তুলনায় অধিকসংখ্যক পশু প্রস্তুত থাকায় জেলার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত পশু দেশের অন্যান্য এলাকায় সরবরাহের প্রস্তুতি চলছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে এবার ৩ হাজার খামারে মোট ১৯,১৬০টি কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে গরু ১২,৮১০টি, ছাগল ৬,১১০টি, মহিষ ১৫টি ও ভেড়া ৮০টি। জেলার চাহিদা মিটিয়ে কমপক্ষে ১,১৬০টি পশু অন্য জেলায় পাঠানো সম্ভব হবে।
রাজশাহী জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ৩,৮৪,৪৩৭টি, অথচ প্রস্তুত করা হয়েছে ৪,৯৬,৮৯৩টি। ফলে জেলায় ১,১২,৪৫৬টি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আতোয়ার রহমান।
এদিকে যশোর জেলায় প্রস্তুত রয়েছে ১,১৪,৫৭৪টি পশু। এর মধ্যে গরু ৩৫,৩৩৮টি, ছাগল ৭৮,৫২৮টি এবং ভেড়া ৫৮৩টি। জেলার মোট চাহিদা ৯৬ হাজার, ফলে এখানেও ১৯ হাজারের বেশি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে।
খামারিরা জানান, পশুর পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও বাজারে ভালো দামের আশা করছেন তারা। দেশের বিভিন্ন কোরবানি হাটে এসব উদ্বৃত্ত পশু পাঠাতে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে গত ১৩ মে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, “গরুর দেশি জাত হারিয়ে আমাদের আধুনিক জাত দরকার নেই। দেশি জাত রক্ষা করে দুধ ও মাংস উৎপাদনের দিকেই নজর দেওয়া উচিত।” তিনি আরও জানান, কোরবানির জন্য এ বছর দেশে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পশু রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও দামে স্বস্তি থাকলে এ বছর কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় হবে আরও সহজ ও সুশৃঙ্খলভাবে।