প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫, ৮:১৬ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ আগস্ট ১৮, ২০২৫, ৮:৫২ অপরাহ্ণ
নাফনদীর জেলেদের বাংলাদেশ জলসীমা অতিক্রম না করার নির্দেশ ইউএনও’র
মোহাম্মদ তোফাইল, টেকনাফ
অভয়াশ্রম গড়ে তুলি,দেশি মাছে দেশ ভরি, এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলাতেও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করা হয়েছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫।
সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজনে ছিল র্যালি, আলোচনা সভা,চাষি সমাবেশ, প্রদর্শনী এবং মৎস্য চাষে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির প্রদর্শন। আয়োজনে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে ১৮ আগস্ট সকালে একটি বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে শুরু হয় কর্মসূচি। র্যালিটি টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এতে অংশ নেন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রাকিব হাসান চৌধুরী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, মৎস্যচাষি ও সাধারণ জনগণ।
র্যালি শেষে উপজেলা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব শেখ এহসান উদ্দিন, সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন,সাংবাদিক আশিক উল্লাহ ফারুকীর কুরআন তেলাওয়াত মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির,
কক্সবাজার জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ জমায়েত ইসলামি টেকনাফ পৌর শাখার সভাপতি রবিউল আলম,
বাংলাদেশ ইসলামি আন্দোলন টেকনাফ উপজেলার দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক আহমদ হোসেন,টেকনাফ ২ বিজিবি কোস্টগার্ড ও পুলিশের প্রতিনিধিরা।
এই সময় বক্তব্য রাখেন,টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন তিনি বলেন, যারা নাফ নদীতে মাছ শিকার করতে যায় তাদের সীমান্তের জলসীমার বিষয়ে অনেক জ্ঞান রাখতে হবে। কোন ক্রমে জলসীমা অতিক্রম করা যাবে না। কারণ সীমানা অতিক্রম করলে মিয়ানমার আরাকান আর্মিরা এসে ধরে নিয়ে গেলে আমাদের করার কিছু নেই, সেই রাজ্যটি এখন বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তাদের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই, যেহেতুু তারা সে দেশের রাষ্ট্রিয় সরকার নয়।
তিনি আরো বলেন, টেকনাফে সঠিক জেলেদের তালিক তৈরি করে প্রতিটি ইউনিয়নে প্রকৃত জেলেদের সরকারের দেওয়া সমস্ত সহযোগিতা পেতে উপজেলার পক্ষ থেকে সহায়তায় করা হবে।
জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন, মাদক আসার নাম দিয়ে নাফ নদীর একটি অংশ খোলে দিয়ে আরেকটি অংশ বন্ধ করে রেখেছে যা জেলেদের উপর বা টেকনাফের মানুষের উপরে বৈষম্য বলে মনে হচ্ছে। যে মাদকের নাম দিয়ে নাফ নদী আংশিক বন্ধ, সে মাদক কিন্তুু অন্য এলাকা দিয়ে পায়ে হেটে আসছে। তাই সব কিছু টেকনাফের মানুষের ঘাড়ে না দিয়ে তদন্ত করে নাফ নদীতে সকল জেলের মাছ আহরন নিশ্চিত করতে আহবান জানাননি।
সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসাইন বলেন, টেকনাফে জন্ম গ্রহন করা কি আমাদের অপরাধ। সীমান্তের কাছে যত সব বৈধ চিংড়িঘের আছে রাতে মাদকের বাহানা দিয়ি সেগুলো থেকে মাছ ধরতে না দেওয়ায় মৎস্য চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ তারা যথা সময়ে মাছ শিকার করে বাজারে উঠাতে পারছে না। তাই ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে লোকসান হচ্ছে । টেকনাফের বৈধ মাছ চাষিদের সহায়তা করার জন্য মৎস্য অধিদপ্তরের সহ যোগিতা করা জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত