নিছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে উৎসব আয়োজনে চকরিয়ায় ৯১ মণ্ডপে পালিত হবে দুর্গোৎসব প্রশাসনের প্রস্তুতি সভায়- ইউএনও

চকরিয়া, প্রতিনিধি
কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন এবং আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় নিছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যদিয়ে উপজেলার ৯১ মণ্ডপে এবারও যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে হিন্দু সম্প্রধায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক মতবিনিময় সভায় দুর্গাপুজা পালনে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সার্বিক সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে বক্তব্য দিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।
উপজেলা প্রশাসনের সভায় চকরিয়া উপজেলা ও চকরিয়া পৌরসভা পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ, পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৪৭টি প্রতিমা মণ্ডপ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় মন্দির ও মন্ডপ কমিটির সংশ্লিষ্টরা থেকে স্ব স্ব মণ্ডপের সমস্যা এবং করনীয় নির্ধারনে সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন। উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতিমুলক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।
এতে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রুপায়ন দেব, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) অভিজিৎ দাশ, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার ও সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি।
এছাড়া অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভা কমিটির নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ, সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
চকরিয়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও চকরিয়া উপজেলায় ৪৭টি মণ্ডপে প্রতিমা পূজা ও ৪৪ মণ্ডপে ঘটপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর রোববার ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে পাঁচদিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে। আমরা আশাকরি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিটি মণ্ডপে পূজারীরা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে উৎসব উপভোগ করতে পারবেন।