নোয়াখালী প্রতিনিধি : শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, প্রগতি, এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞজেলা ম্যাজিষ্ট্রেট খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদের আয়োজনে সনাতনী ধর্মের বৃহত্তর উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৫ উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের হল রুমে। নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক,
মুহা: ইসমাইলের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালীর সেনাবাহিনীর জেলা প্রধান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এন.এস আই জেলা প্রধান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জেলা কর্মকর্তা, সদর উপজেলার ইউ এনও, এবং নোয়াখালী জেলার সাবেক বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রহমান সাহেব, নোয়াখালী জেলার জামাতের আমির, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নোয়াখালী জেলা আহ্বায়ক রনি চৌধুরী ইমন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট নোয়াখালী জেলার সদস্য সচিব প্রীতম দাস,বাংলাদেশ যুব ঐক্য ছাত্র প্রতিনিধি, সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাসহ শারদীয়া দুর্গাপূজা উদযাপন ফ্রন্টের বিভিন্ন উপজেলার সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।এ সময় নোয়াখালী জেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সদস্য সচিব প্রিতম দাস জানান, চলমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন এলাকার পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা বিষয়বস্তু যানজট নিরসনসহ বিভিন্ন দিক নির্দেশনা নিয়ে কথা বলেন।
এ সময় কোম্পানিগঞ্জ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট এর আহ্বায়ক শ্যামল দাস বলেন, হতে পারি আমরা ভিন্ন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী। এরপরেও আমাদের একটাই পরিচয় রয়েছে আমরা মানুষ আমরা সবাই বাঙালি আমরা এই দেশে বসবাসকারী। তাই সকলের সহযোগিতায় আমরা সুন্দর একটা পূজা উদযাপন করবো এটাই প্রত্যাশা। নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞজেলা ম্যাজিষ্ট্রেট খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদের জানান, আমাদের মনে করতে হবে এই উৎসব আমাদের সকলের আমরা সকলেরই দায়িত্ব, সুন্দর এবং সুশৃংখলভাবে যাতে পূজার শুরু থেকে বিসর্জনের দিন পর্যন্ত সুন্দর এবং শৃঙ্খলা বজায় রেখে পূজা সমাপ্ত করা যায় সেই জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্বক সহযোগিতা থাকবে তিনি আরো জানান,শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আমাদের ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগিতা প্রয়োজন আমরা সর্বাত্মক সবটুকু সহযোগিতা দিয়ে সহযোগিতা করবো। এর বাইরে ও কিছু নিরাপত্তার স্বার্থে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা পূজা মন্ডপ এলাকায় খুবই জরুরি। কারণ কিছু কিছু ঘটনা ঘটে থাকলেও সত্যতা প্রমাণ করা যায় না উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে। তাই প্রতিটি পূজা মন্ডবে সিসিটিভি ক্যামরার আওতায় আনা খুবই জরুরী।
তাছাড়াও আমরা সকলে মিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করলে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আমরা চাই উপজেলায় কোথাও কোন প্রকার অন্যায় দুর্নীতি চাঁদাবাজির মত কোন প্রকার ঘটনা যাতে না ঘটে। এই সময় নোয়াখালী জেলা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড, আব্দুর রহমান জানান সদরের মূল সড়কে কিছু কিছু জায়গায় যানজট গঠতে পারে। নিরসনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা অব্যাহত থাকবে আশা করি।এবং পূজা উপলক্ষে যাতে নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারে সেদিকে পুলিশের পাশাপাশি সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে। আবদুর রহমান আরো জানান, গত বছর প্রতিটি মন্দিরে আমরা বিএনপি পরিবার রাত জেগে পাহারা দিয়েছি আগামী দিনে ও সুন্দর ও সুষ্ঠু পূজার পরিবেশ সৃষ্টি করতে নোয়াখালী জেলা বিএনপি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে থাকবে। এই সময় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট চাটখিল উপজেলার প্রধান সমন্বয়ক পলাশ চর্কবর্তী বলেন, সামজিক সম্প্রীতি বজায় রেখে শারদ্বীয় দুর্গাপূজা পালনকরা হবে। এ উৎসবকে ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এরাতে পুলিশ বাহিনী কঠোর নজরদারিতে থাকবে। পূজা চলাকালিন প্রত্যেক মণ্ডপে পুলিশি টহল ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। নোয়াখালী জেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের যুগ্ম আহ্বায়ক এড,রতন মজুমদার বলেন আপনাদের যেকোনো সমস্যা বা আশংঙ্কার বিষয়ে দ্রুত থানা পুলিশকে জানাবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব সময় আপনাদের পাশে আছে। পূজার সময় সাধারণ মানুষের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় থাকে সেজন্য পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকবে। উপজেলার প্রতিটি পূজা মন্ডপ সিসিটিভির আওতায় আনা হলে ভালো হয়। এই সময় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট নোয়াখালী জেলার আহ্বায়ক রনি চৌধুরী ইমন বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়, এটি একটি সার্বজনীন উৎসব। সবাই মিলে- মিশে এ উৎসব উদযাপন করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত থাকবে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে এবং পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও গ্রাম পুলিশও দায়িত্ব পালন করবে। এ সময় পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেতারা পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ সরবরাহ, আলোকসজ্জা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।