রবিবার, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫

পেকুয়ায় মামলার প্রতিবেদন দিতে ৯ হাজার টাকা ঘুস নিলেন দারোগা

চিটাগং ট্রিবিউন ডেস্ক
কক্সবাজারের পেকুয়ায় মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে বাদীর কাছ থেকে ঘুস নেয়ার অভিযোগ উঠেছে পেকুয়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই নিরস্ত্র) মাশুকুর রহমানের বিরুদ্ধে। ঘুস নেয়ার বিষয়ে ভুক্তভোগী পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের পশ্চিমকুল এলাকার বাসিন্ধা মৃত আব্দুল খালেকের পুত্র মোক্তার হোসেন পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া পেকুয়া) সার্কেল বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে মোক্তার হোসেন দাবি করেন, পেকুয়া থানাধীন বারবাকিয়ার মোহাম্মদ আলী হোসেন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩ লক্ষ টাকার প্রতারণা মামলা করেন মোক্তার হোসেন যার মামলা নং সিআর ১৬৩২/২০২৫। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পেকুয়া থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেন এসআই মাশুকুর রহমানকে।
অভিযোগ উঠেছে মামলার তদন্ত করতে গিয়ে মাশুকুর রহমান মামলার বাদী মোক্তার হোসেনের কাছ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন দিবে বলে বিশ হাজার টাকা ঘুস দাবি করেন।
ভুক্তভোগী নিরুপায় হয়ে দুই কিস্তিতে ৯ হাজার টাকা ঘুস দেন। ঘুসের বাকি ১১ হাজার টাকা মামলার প্রতিবেদন দেয়ার সময় দিবে বলে এসআইকে আশ^াস দেন।  ভুক্তভোগী আরো অভিযোগ করেন, দারোগা মাশুকুর রহমান ঘুস নেয়ার কিছুদিন পর ভুক্তভোগীকে ডেকে এনে তিন লক্ষ টাকার মধ্যে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে বিবাদীর সাথে আপোস হওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। এতে মোক্তার হোসেন রাজি না হলে তার বিপক্ষে প্রতিবেদন দিবে বলে হুমকি ধমকি দেন।
বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শনিবার সন্ধ্যায় পেকুয়া থানায় স্বশরীরে হাজির হয়ে এসআই মাশুকুর রহমানের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ দিতে গেলে ওসির রুমে এসআই মাশুকুর রহমানহ আরো কয়েকজন পুলিশ সদস্য মিলে বাদীকে নানান কথা বললে তাতে হট্টগোল বাঁধে, পরে বাদী ওসিকে বিষয়টি দেখার অনুরোধ জানিয়ে ওসির কক্ষ ত্যাগ করেন।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত এসআই মাশুকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘুস নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে এটি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন, এবং মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানান।
বিষয়টি নিয়ে জানতে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল মোস্তাফার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পাইনি তবে একজন এসেছিলো তাকে নিয়ে এসআই মাশুকুর রহমানের কাছে জানতে চেয়েছি, জানতে পারলাম অভিযোগ সত্য নয়। তারপরও লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে হট্টগোল হয়নি বলে জানান তিনি।

সর্বাধিক পঠিত