শনিবার, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫

পেকুয়ায় সংরক্ষিত বনে অবৈধ বালু উত্তোলন, অভিযানের নামে বনবিভাগের তামাশা

এস এম জুবাইদ, পেকুয়া
কক্সবাজারের পেকুয়ায় বনবিভাগের সংরক্ষিত বনে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে পাহাড় খেকো এক চক্র।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার শিলখালী জারুলবুনিয়া ঢালার মুখ এলাকায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের সংরক্ষিত বনের ভিতরে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করছে এ চক্র।
গতকাল বিকাল ৩টার দিকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বারবাকিয়া বিট কর্মকর্তা শাহজাহান সজিবের নেতৃত্বে একটি দল বালির স্তুপ পরিদর্শন করেন।
এদিকে বালু স্তুপ পরিদর্শন করে
জারুলবুনিয়া বাজারে এসে বালি উত্তোলনে জড়িত ব্যক্তিদের সাথে চা চক্রে আড্ডায় মেতে উঠলেন বিট কর্মকর্তা। এসময় ডাম্পার গাড়ী রিজার্ভে ঢুকে বিট কর্মকর্তার অভিযানে থাকা বালি পাচার করছেন বালি খেকো সিন্ডিকেট। তা দেখে বিট কর্মকর্তার এমন অভিযান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয় স্থানীয়দের মাঝে।
স্থানীয় জানান, দীর্ঘ থেকে স্থানীয় নুরুল আলমের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট সংরক্ষিত বনে বালি উত্তোলন করে ডাম্পারে করে ভিতর থেকে বাহির করে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করে আসছে। ওখান থেকে বিক্রি করা টাকার একটি অংশ সংশ্লিষ্ট অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দেখেও না দেখার ভান করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। আজকে অনেক বার ফোন দিয়ে বিট কর্মকর্তা শাজাহান সজিবকে বলার পর সে ঘুরে চলে আসে। বালি পাচার বন্ধ করেনি বরং বালি উত্তোলনকারীদের সাথে গল্প করে চা, নাস্তায় আড্ডায় মেতে উঠলেন। একদিকে সে জারুলবুনিয়া বাজারে বালি উত্তলনকারীদের সাথে চা,নাস্তা খাচ্ছে অন্য দিকে ডাম্পার যোগে বালি পাচার করছে ওই চক্র। একজন বিট অফিসারের সামনে কিভাবে গাড়ী বের হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এটা রাষ্ট্র বা সরকারকে ধোকা দেওয়া ছাড়া আর কিছু নয়। বিট কর্মকর্তা বালি থেকে ভাগ নেওয়ার কারণে আজকে বালি উত্তোলন ও পাচার বন্ধ হচ্ছে না। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে রিজার্ভ বন ভূমি।
উর্ধ্ধতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে অচিরে এ পাহাড় বিলিন হয়ে যাবে। বনবিভাগ অভিযানের নামে তামাশা করছে। লোক দেখানো অভিযান চালিয়ে নাটক সৃষ্টি করেছে।
এ নিয়ে কর্মকর্তা শাহজাহান সজিব বলেন, আমি গিয়েছিলাম দেখে আসছি, পরিস্থিতি জটিল দেখা দেওয়াই চলে আসছি। বড় পরিসরে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ বিষয়ে বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা খালেকুজ্জামান বলেন, আমি জানতে পারার সাথে সাথে বিট কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছি। বালি উত্তোলনকারীদের সাথে চা,নাস্তা খাওয়ার বিষয়টি খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বাধিক পঠিত