চিটাগং ‍ট্রিবিউন ডেস্ক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কক্সবাজারে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মকছুদ আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মহেশখালী থানার আওতাধীন কালামারছড়ার আইসি ক্যাম্পের এসআই মোহাম্মদ মনির হোসেনের নেতৃত্বে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে হোয়ানকের টাইমবাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এসআই মোহাম্মদ মনির হোসেন তার গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আওয়ামী লীগ নেতা মকছুদ আলমের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে দুইটি মামলার তথ্য রয়েছে। আরও মামলা আছে কি না খোঁজা হচ্ছে, তার বিরুদ্দে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

মকছুদ আলম আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আশেকউল্লাহ রফিকের আত্মীয়, একই সাথে মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক বিন উসমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।

কক্সবাজারে আশেকউল্লাহ রফিকের অফিসের সামনে তার নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার যে ঘটনা ঘটেছিল, তাতে উপস্থিত ছিলেন মকছুদ আলম। এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করা হয়েছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মহেশখালী থেকে দেশীয় অস্ত্র ও লোকবল সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে মকছুদ আলম ও তার ভাই সন্ত্রাসী জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে।

এছাড়া, আশেকউল্লাহর প্রভাব কাটিয়ে হোয়ানকে কয়েকশত একর প্যারাবন কেটে চিংড়ি ঘের করায় মকছুদ আলমের বিরুদ্ধে বন বিভাগের মামলা রয়েছে। প্যারাবন কেটে ঘের করার ক্ষেত্রে মকছুদের পার্টনার ছিলেন হোয়ানক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ ওয়াহিদ শামীম। তিনিও একই মামলার আসামি।

ফিরোজ ওয়াহিদ শামীমের পিতা মহেশখালীর অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী ফেরদৌসের ব্যবসায়িক পার্টনার হচ্ছেন গ্রেফতারকৃত মকছুদ আলম। এই ফেরদৌস পুলিশের বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের মহেশখালীতে ব্যবসায়ীক পার্টনার ছিলেন। ফেরদৌস, আশেক ও তারেকের ঘণিষ্ঠতায় মকছুদ আলমের বিরুদ্ধে মানুষের জায়গা-জমি দখল এবং জামায়াত ও বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।

কালারমারছড়ার আওয়ামী লীগপন্থী কয়েকটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে হোয়ানকে আশ্রয়দাতাও হচ্ছেন মকছুদ আলম। আওয়ামী লীগের পলাতক নেতারা মকছুদ ও ফেরদৌসের চিংড়ি ঘেরে প্রতিদিন রাতে থাকছেন। গ্রেফতারকৃত মকছুদকে রিমান্ডে নিয়ে গিয়ে এসব সন্ত্রাসী বাহিনীর লোক ও অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা