নিজস্ব প্রতিবেদক:
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স (এফএমবি) বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় এফএমবি ও ইএসটি বিভাগের শিক্ষার্থীরাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত কয়েক দফায় এ সংঘর্ষ চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি চায়ের দোকানে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় অসুস্থ হয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন প্রক্টর ড. মো. আমজাদ হোসেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে রাতেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী ও সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, যাদের আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনের প্রস্তুতি চলছে। তবে কিছু শিক্ষার্থী এ কমিটি চান না, যার ফলে গত দুই দিন ধরে ক্যাম্পাসে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
সর্বশেষ শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে একটি চায়ের দোকানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে সিএসই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে বিষয়টি মীমাংসার জন্য সবাই প্রক্টর অফিসে গেলে উত্তেজিত সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা পরস্পরের ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে এবং উভয়পক্ষ ক্যাম্পাসে একাধিকবার ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
আহত শিক্ষার্থীরা বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমরা চায়ের দোকানে বৈষম্যবিরোধীর কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা করছিলাম। হঠাৎ করে আমাদের কোনো একটি কথায় আমাদের বিপক্ষ গ্রুপ বৈষম্যবিরোধীর শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর চড়াও হয়। তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধীর শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর প্রথমেই হামলা চালায় এবং ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এতে পাঁচজন আহত হলে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ক্যাম্পাসে পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে