সোমবার, ডিসেম্বর ১, ২০২৫

ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক স্থগিতের দাবিতে খাগড়াছড়িতে পিসিসিপি’র স্মারকলিপি প্রদান

এম মহাসিন মিয়া, খাগড়াছড়ি
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের আসন্ন বৈঠক স্থগিতের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি)।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফেরদৌসী বেগমের নিকট এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন, পিসিসিপি’র খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, প্রচার সম্পাদক রিয়াদুল ইসলাম, কলেজ কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম জুনায়েদ, পৌর কমিটির সদস্য সিরাজুম মনির রিয়াদ, আরাফাত হোসেন ও মো. আব্দুল্লাহ মেহেদী হাসানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
স্মারকলিপিতে পিসিসিপি জানায়, আগামী ১৯ অক্টোবর (রবিবার) রাঙামাটি জেলা পরিষদে অবস্থিত কমিশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। এ বৈঠককে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে।
পিসিসিপি অভিযোগ করে, ২০১৬ সালের সংশোধিত আইনে গঠিত এই কমিশনে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ৫২ শতাংশ বাঙালি জনগোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধি নেই। নয় সদস্যবিশিষ্ট কমিশনের সাতজনই উপজাতি।যার মধ্যে রয়েছেন তিনজন সার্কেল চিফ (রাজা), তিনজন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং একজন আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান। বাকিদের মধ্যে রয়েছেন একজন চেয়ারম্যান ও একজন বিভাগীয় কমিশনার। ফলে বাঙালি জনগোষ্ঠীর মতামত প্রতিফলিত হওয়ার সুযোগ নেই, যা কমিশনের সিদ্ধান্তকে একপেশে করে তুলবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে সংগঠনটি।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ না থাকায় এটি সংবিধানবিরোধী এবং বৈষম্যমূলক ধারা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। ফলে কমিশনের সিদ্ধান্তে পার্বত্য অঞ্চলের বাঙালিরা ভূমিহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে।
পিসিসিপি জানায়, তাদের ঘোষিত ৮ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের কোনো বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে রাজপথে থেকে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে বৈঠক প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।
স্মারকলিপিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে ১৯ অক্টোবরের বৈঠকসহ কমিশনের সব কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য।

সর্বাধিক পঠিত