মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় নিহত উক্যছাইং মারমার মরদেহ রাজস্থলীতে পৌঁছেছে

আইয়ুব চৌধুরী, রাজস্থলী
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গুরুতর আহত রাজস্থলীর শিক্ষার্থী উক্যছাইং মারমা (১৪) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়।
নিহত উক্যছাইং মারমা রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়া ইউনিয়নের কলেজপাড়ার বাসিন্দা এবং রাজস্থলী উপজাতীয় আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উসাইমং মারমার একমাত্র পুত্র। তিনি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংলিশ মিডিয়াম শাখার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে রাজধানীতে পাড়ি জমিয়েছিল এই কিশোর। কিন্তু নির্মম এক দুর্ঘটনা সেই স্বপ্ন চিরতরে থামিয়ে দিল। দগ্ধ অবস্থায় বার্ন ইনস্টিটিউটে কয়েক ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে শেষমেশ হার মানে সে।
আজ (বুধবার) সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে নিহত উক্যছাইং মারমার মরদেহ নিজ বাড়িতে পৌঁছায়। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে ধর্মীয় রীতিতে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।
নিহতের পিতা উসাইমং মারমা ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,
“আমার সন্তানকে আমরা শহরে পাঠিয়েছিলাম বড় স্বপ্ন নিয়ে, অথচ লাশ হয়ে ফিরল। আমি চাই না, আর কোনো মা-বাবা এভাবে সন্তান হারাক।”
তিনি বিমান প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনা না করার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় উক্যছাইং মারমা ছাড়াও আরও কয়েকজন আহত হন।