স্টাফ রিপোর্টার
রমজানের আগে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাইয়ের পাইকারি বাজারে বেশিরভাগ ভোগ্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী। ব্যবসায়ীদের দাবি, প্রচুর সরবরাহ থাকায় পণ্যের দাম কমছে, তবে ভোজ্যতেলের বাজার এখনো অস্থির।
গত এক সপ্তাহে ছোলার দাম কেজিতে ৩-৪ টাকা কমে ৯০-৯৬ টাকায় নেমেছে। মসুর ও খেসারি ডাল যথাক্রমে ১২৫ ও ১০১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা কেজিতে ২-৫ টাকা কম। চিনির দাম ১১৪ টাকা, চিড়া ৫৬ টাকা—উভয়ই কয়েক টাকা কমেছে। দেশি পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৮-৬০ টাকা, চীনা রসুন ২১২ টাকা ও আদা ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের চেয়ে ৫-৫০ টাকা পর্যন্ত কম।
তবে ভোজ্যতেল এখনো চড়া দামে রয়েছে। পাম তেল মণপ্রতি ৫,৮০০ টাকা এবং সয়াবিন তেল ৬,৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা আশ্বস্ত করেছেন, রমজানে দাম বাড়ার সম্ভাবনা কম, তবে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব কিছুটা পড়তে পারে।
ভোক্তাদের অভিযোগ, পাইকারিতে দাম কমলেও খুচরা বাজারে এর সুফল দ্রুত মেলে না। বরং পাইকারিতে দাম বাড়লেই খুচরা ব্যবসায়ীরা সঙ্গে সঙ্গে দাম বাড়িয়ে দেন। তারা দাবি করেছেন, প্রশাসনকে বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করতে হবে, যাতে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মূল্য বৃদ্ধি করতে না পারে।