রাঙামাটিতে আবারও রোগাক্রান্ত ও গর্ভবতী গরু জবেহের অভিযোগ উঠেছে কসাই সাইমনের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে শহরের বনরুপা ফারুক মার্কেট মাছ বাজারে তার মাংসের দোকানে এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
রাঙামাটি প্রাণিসম্পদ বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন,
“আমি সকালে জবেহের সময় উপস্থিত ছিলাম। সাইমনের একটি গরুর পেটে বাচ্চা থাকায় সেটি জবেহ করতে দেওয়া হয়নি। এর আগেও সে একাধিকবার রোগাক্রান্ত বা গর্ভবতী গরু জবেহের জন্য নিয়ে আসে। আমরা বাধা দিই। কিন্তু আমরা চলে আসার পর সে সুযোগ বুঝে গরু জবেহ করে বিক্রি করে থাকে।”
অভিযোগ অস্বীকার করে কসাই সাইমন উল্টো প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলে বলেন,
“আবু তাহের প্রতিদিন গরু জবেহের সময় আমাকে দুই হাজার টাকা দিতে বলেন। টাকা না দেওয়ায় তিনি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন।” প্রতিবেদককে প্রভাবশালী এক নেতার নাম ভাঙিয়ে হুমকিও দেন তিনি।
টাকা দেওয়ার বিষয়ে শহরের অন্যান্য কসাইদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান,
“গরু জবেহের আগে বা পরে কাউকে কোনো টাকা দেওয়া হয় না। কেউ যদি এমন অভিযোগ করে থাকে, তবে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
তবে স্থানীয় সচেতন মহল মনে করে—টাকার লেনদেন যাই হোক না কেন, গর্ভবতী বা রোগাক্রান্ত গরু জবেহ আইনবিরোধী এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের মাংসে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি বহুগুণ বেশি। প্রশাসনের নীরবতা ও দুর্বল তদারকি এসব ভয়াবহ অনিয়মকে আরও উৎসাহিত করছে।
তাদের দাবি—এ ধরনের অপরাধে দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ মাংস খেতে বাধ্য হবে।