করিম উল্লাহ - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
লাল সন্ত্রাসী মেঘমল্লার বসুর 'লাল সন্ত্রাস ও সহিংসতার' হুমকিতে জীবন নিয়ে শঙ্কিত ঢাবি শিক্ষার্থীরা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং হুমকিদাতার গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এইসব দাবির কথা জানায়। এই সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন।
প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীরা সহিংসতার শিকার হতে পারে এই আশঙ্কা প্রকাশ করে তারা জানান - ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লা বসুর সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্টে "লাল সন্ত্রাস ও সহিংসতার" হুমকি দেওয়া হয়েছে, যা ক্যাম্পাসে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। পোস্টে তিনি বিরোধী মত দমনে সহিংসতার মাধ্যমে রেড টেরর চালানোর ঘোষণা দেন।
তারা আরও বলেন, এই পোস্টের প্রতিবাদে গত রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে এবং মেঘমল্লার বসুর গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা করছে, ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে সংঘাত সৃষ্টি করার মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়া বানচাল করার চক্রান্ত করছে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।
১৯৯২ সালে তৎকালীন উপাচার্যের বক্তব্য উল্লেখ করে তারা জানায়, হল দখল এবং সন্ত্রাসের মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করা ছিল তাদের নীতি।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে যে, লাল সন্ত্রাসের উস্কানিদাতা মেঘমল্লার বসুকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এছাড়া শাহবাগ থানায় মেঘমল্লার বসুর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার কথাও জানানো হয়েছে।
এছাড়াও, মাওবাদী নেতা সিরাজ সিকদারের চেতনা অনুসরণ করে "লাল সন্ত্রাস" চর্চার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির দেয়ালে সিরাজ সিকদারের গ্রাফিতি মুছে ফেলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এই ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছে।
শিক্ষার্থীরা দাবি করেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুত ডাকসু নির্বাচন দিতে হবে, যা ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে এবং সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসান ঘটাবে। তারা পুলিশি হামলার সাথে জড়িতদেরও বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।
শিক্ষার্থীরা দৃঢ়ভাবে বলেছে, ডাকসু নির্বাচন হলে ক্যাম্পাসে সহিংসতার রাজনীতি শেষ হবে এবং একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসবে।