প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ১১:০১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ
শিক্ষক অধিকার হারানোর দায় কার? আমাদেরই!
মো: তানজিম হোসাইন
শিক্ষকদের অধিকার আদায়ের দীর্ঘ লড়াই আজও ফলপ্রসূ হয়নি। দায় শুধু সরকার বা নীতিনির্ধারকের উপর চাপানো যায় না। প্রকৃত সত্য হলো— রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি, অবসরপ্রাপ্ত নেতাদের ছায়া এবং শিক্ষকদের নিজের উদাসীনতা মিলে তৈরি করেছে এই ব্যর্থতার গল্প।
রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি শিক্ষক সমাজকে শিকলবন্দি করেছে। যে সংগঠনগুলো পেশার স্বার্থ রক্ষার জন্য গঠিত হয়েছিল, সেগুলো এখন রাজনৈতিক দল ও অবসরপ্রাপ্ত নেতাদের দোসর হয়ে গেছে। আর কর্মরত শিক্ষকরা? তারা পিছনে দাঁড়িয়ে দেখছে— তাদের অধিকার, তাদের দাবি, তাদের স্বার্থ— সবই পেছনে ধাক্কা খাচ্ছে।
অবসরপ্রাপ্ত নেতাদের ছায়া সংগঠনগুলোকে জীবন্ত রাখেনি, বরং নিস্তেজ করেছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার হারানো শিক্ষকেরা এখন কেবল দেখার অবস্থায়। এটা শুধু দুর্ভাগ্য নয়, এটা চরম অবহেলা।
সবচেয়ে বড় দায় আমাদের নিজেরই। আমরা নিজেদের অধিকার নিয়ে উদাসীন থেকেছি। আন্দোলন আসলেই পিছিয়ে, স্বার্থরক্ষার যুদ্ধে আলসেমি করেছি। ফলে শিক্ষকদের অধিকার আজও অধরা।
এবার সময় এসেছে— আর কোনো অজুহাত নয়। সংগঠন হবে শিক্ষকদের জন্য, নেতৃত্ব হবে কর্মরত শিক্ষকদের হাতে। রাজনীতির লেজুড়বৃত্তি আর অবসরপ্রাপ্ত নেতার ছায়া নামবে। আমরা নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য দৃঢ় ও একজোট হতে হবে। না হলে, এই অধিকারহীনতার লাঞ্ছনা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও ছেয়ে যাবে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত