শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫

সাংবাদিক মাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা জানাল বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ

চট্টগ্রাম, প্রতিনিধি 
চট্টগ্রামের সাংবাদিক মাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলায় আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি একজন ব্যবসায়ীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করেছিলেন। তবে সাংবাদিক মাজেদুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে এটিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা বলে দাবি করেছেন।
এশিয়ান টেলিভিশনের চট্টগ্রাম প্রতিনিধি মাজেদুল ইসলাম খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী মোসলেম উদ্দিনের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধান করছিলেন। তথ্য সংগ্রহের সময় তিনি নানা বাধা ও হুমকির মুখে পড়েন। এর কিছুদিন পর তার বিরুদ্ধে ভয়ভীতি ও চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত করে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট। অভিযোগ রয়েছে, তদন্তে সাংবাদিকের জমা দেওয়া প্রমাণ, কললিস্ট, সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য উপেক্ষা করা হয়। বাদীর দাবি অনুযায়ী একতরফা প্রতিবেদন তৈরি করে আদালতে জমা দেওয়া হয় এবং এর ভিত্তিতেই সম্প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
নিজের অবস্থান তুলে ধরে মাজেদুল ইসলাম বলেন, “আমি আমার কাজের যথেষ্ট প্রমাণ দিয়েছি। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা সেগুলো আমলে নেননি। আমাকে চাপে ফেলার জন্য সোর্সের নাম প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। সত্য প্রকাশের দায়ে আমাকে আজ অপরাধীর আসনে দাঁড় করানো হয়েছে।”
এ ঘটনায় বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ, চট্টগ্রাম গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ১০ সেপ্টেম্বর এক লিখিত বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক জাহিদুল করিম কচি বলেন, “আমাদের সহকর্মী সাংবাদিক মাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আমরা মনে করি, এটি শুধু একজন সাংবাদিক নয়, পুরো সংবাদ পরিবেশ ও গণমাধ্যম স্বাধীনতার ওপর আঘাত। অবিলম্বে এ মামলা প্রত্যাহার এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন করতে হবে।”
সাংবাদিক মহল মনে করছে, এ মামলা স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধের অপচেষ্টা। ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় সাংবাদিক মাজেদুল ইসলাম লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ, চট্টগ্রাম অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এবং সহকর্মীর পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে।

সর্বাধিক পঠিত