তিনি বলেন, আমার ২ দিনের বেআইনি জিজ্ঞাসাবাদের সময় ডিবি আমাকে জিজ্ঞেস করল- মিস বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন আসলে কী করে? কেন সরকারি সংস্থা, ডিপ্লোম্যাটিক প্ল্যাটফর্ম আর এম্বাসিগুলোর সাথে যোগাযোগ রাখে?
বিশ্ববাসী হয় বাংলাদেশকে চিনেই না, নয়তো আমাদেরকে শুধু দারিদ্র্য, বন্যা, ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ, পিছিয়ে পড়া দেশ হিসেবে দেখে। আর মনে করে আমরা সবসময় আমাদের প্রতিবেশী ভারতের নিচে!
তিনি বলেন, কিন্তু আসল সত্যিটা হলো-
• লন্ডনের বেশিরভাগ “ইন্ডিয়ান” রেস্টুরেন্ট? আসলে বাংলাদেশিদের।
• আমাদের সংস্কৃতি? ফ্যাশন, গ্ল্যামার, সৌন্দর্য, আধ্যাত্মিকতা, খাদ্য আর সম্প্রীতির রঙিন মিশেল।
• আমাদের মানুষ? বহুভাষিক, উদ্যোক্তা, অভিযোজনক্ষম।
তাই আমার কাজ হলো বাংলাদেশকে নতুনভাবে পরিচয় করানো, ‘positive rebranding’ করা, sympathy চাইতে নয়, বরং সমান মর্যাদার দেশ হিসেবে দাঁড় করানো।
মেঘনা আলম এরপর জানান ডিবি তাকে বলেছে এসব অর্থহীন কেননা একমাত্র সাকিব আল হাসান বিশ্বে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করছে। তিনি বলেন, ওদের জবাব?
আপনার এগুলো করার তো দরকার নেই কোনো। বাংলাদেশের সব ব্র্যান্ডিং তো সাকিব আল হাসান করে ফেলছে! পুরো দুনিয়া ওকে চেনে এটাই বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট!”
মেঘনা তাঁর ফেসবুক পোস্টে বলেন, আমার মাথায় তখন: আমেরিকাকে যদি কেউ বলে, “তোমাদের সিলিকন ভ্যালির দরকার নেই, তোমাদের তো বিয়ন্সে Beyoncé আছে!” বা ফ্রান্সকে বলে ‘’তোমাদের ডিপ্লোমেসি লাগবে না, এমবাপ্পে তো আছেই!”তাহলে কেমন লাগবে?