শনিবার, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫

সিলেট সীমান্তে ৭ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ

চিটাগং ট্রিবিউন ডেস্ক 

সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্তে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গত চারদিনের অভিযানে প্রায় ৭ কোটি ২২ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য, অস্ত্র ও মাদক জব্দ করা হয়েছে। তবে এসব অভিযানে কোনো চোরাচালানীকে আটক করা সম্ভব হয়নি—যা স্থানীয়দের মধ্যে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

আজ সোমবার ভোরেও সীমান্তের তামাবিল, প্রতাপপুর, পান্থুমাই ও বাংলাবাজার এলাকায় অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি, মহিষ, জিরা, পিয়াজ, চকলেট, বডি স্প্রে, চিনি, ফেসওয়াশ, সাবান, হেয়ার জেল, শ্যাম্পু, বিয়ার এবং অবৈধ বালুবাহী ট্রলি জব্দ করে বিজিবি। উদ্ধারকৃত মালামালের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি ২৫ লাখ টাকা।

৪৮-বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন সদর দপ্তরের নির্দেশনায় সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান, মাদক ও অস্ত্র পাচার রোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আজকের অভিযানে বড় ধরনের চোরাচালানি চক্রের একটি চালান ধ্বংস করা হয়েছে। জব্দকৃত মালামালের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

এর আগে ২১ ও ২৪ আগস্ট এবং ৪ সেপ্টেম্বরের অভিযানে মেহেদী, সুপারি, গরু, পিকআপ, ভারতীয় জিরা, শাড়ি, এয়ার গানসহ বিপুল পরিমাণ পণ্য জব্দ করা হয়। সব মিলিয়ে চারটি অভিযানে প্রায় ৭ কোটি ২২ লাখ টাকার চোরাচালানি মাল জব্দ করা হয়।

তবে স্থানীয়দের মাঝে প্রশ্ন উঠছে—এত অভিযান, অথচ একজন চোরাকারবারীও গ্রেপ্তার হয়নি কেন? স্থানীয়রা বলছেন, কিছু ক্ষেত্রে অভিযান সম্পর্কে আগাম তথ্য পাচার হওয়ায় চোরাকারবারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে। এর পেছনে সীমান্ত এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তির হাত থাকতে পারে বলেও সন্দেহ করছেন তারা।

সীমান্তে চোরাচালান রোধে শুধু মালামাল জব্দ নয়, হোতাদের গ্রেপ্তারও জরুরি—এমন দাবি জানাচ্ছেন সচেতন মহল।

 

সর্বাধিক পঠিত