
বিএনপি নেতা তোতা হত্যাকাণ্ড: দুই মাসেও আসামি গ্রেপ্তার হয়নি
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনের সড়কে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হুদা মাস্টার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হোসেন মেম্বার, নিহতের ছেলে যুবদলের সাবেক সভাপতি ইসমাইল তোতা এবং ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সবুজ তোতা।
বক্তারা অভিযোগ করেন, তোতা চেয়ারম্যান বিএনপির দুঃসময়ে দলের সঙ্গে জড়িত থেকে জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার দুই মাস পার হলেও এখনো কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি, যা ভুক্তভোগী পরিবারে হতাশা সৃষ্টি করেছে। বক্তারা আরও অভিযোগ করেন যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজ্জাকের অর্থায়নে তোতা চেয়ারম্যানের পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা ও অন্য মামলাসহ মোট ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অথচ ফ্যাসিবাদের দোসর রাজ্জাক চেয়ারম্যান ও তার সহচররা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডের এক মাস পরে আমি এই থানায় যোগদান করি। আসামিরা কেউ এলাকায় নেই। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে চরএলাহী বাজারে চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মেম্বার, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের যোগসাজশে একদল অস্ত্রধারী তোতা চেয়ারম্যানকে নির্মমভাবে কুপিয়ে আহত করে। চার দিন পর ৩০ আগস্ট বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।