
এম মহাসিন মিয়া (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়িতে ২৮ বছরের পুরনো জরাজীর্ণ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন ২০৩ পদাতিক ডিভিশনের খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান।
৭জানুয়ারী দুপুরে খাগড়াছড়ি সদরস্থ ও খাগড়াছড়ি রিজিয়নের আওতায়ধীন “পূর্বশালবন আদর্শপাড়া বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়” আকষ্মিক পরিদর্শন করেন তিনি।
এ সময় খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা, জেলা পরিষদের সদস্য মো. মাহাবুব আলম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এড. মনজিলা জুমা সহ অনান্য অফিসার ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে জাতীয় করণ থেকে সুবিধাবঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার হওয়া “পূর্বশালবন আদর্শপাড়া বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে” দীর্ঘদিন ধরে বিনা বেতনে পড়িয়ে বিদ্যালয়টি ধরে রেখে পাঠদান চালু রাখে ৬ জন শিক্ষক।
এ সময় খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান বিনা বেতনে পড়িয়ে বিদ্যালয়ি ধরে রেখে মহত্ত্বের পরিচয় দেয়ায় ৬ জন শিক্ষককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ বছর পরেও নানা বৈষম্যের কারণে বিদ্যালয়টি জাতীয় করণ না হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে “পূর্বশালবন আদর্শপাড়া বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি” স্থাপিত হয়। বিগত সময়ে এরচেয়ে কম বয়সী বিদ্যালয়গুলো জাতীয় করণ হলেও চরম বৈষম্যের শিকার হয়েছে “পূর্বশালবন আদর্শপাড়া বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি”। আয়তনে বড় এবং বহুল জনসংখ্যা পূর্বশালবনেরর একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় এটি। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শিশু-শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম চালু রয়েছে। বিনা বেতনে ৬ জন শিক্ষক শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে জরাজীর্ণ ঝুকিপূর্ণ কক্ষেই দেয়া হচ্ছে পাঠদান। বিদ্যালয়ে নেই প্রয়োজনীয় চেয়ার-টেবিল, ভবন, কক্ষ, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, বাথরুম সহ অনান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম।