শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিতে গিয়ে মধ্য-ডানপন্থি এই গ্রিক নেতা বলেন, ‘২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে, তবে “হাজারো শিশুর মৃত্যু কোনোভাবেই ন্যায্যতা পেতে পারে না’’।’
তিনি বলেন, ‘গ্রিস ইসরাইলের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব বজায় রাখে, তবে এতে আমাদের খোলাখুলি এবং স্পষ্টভাবে কথা বলতে কোনো বাধা নেই।’
মিৎসোটাকিস আরও সতর্ক করে বলেন, ‘এই ধারা অব্যাহত থাকলে শেষ পর্যন্ত তা ইসরাইলের স্বার্থকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন কমে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি আমার ইসরাইলি বন্ধুদের বলছি— যদি তারা এমন পথেই এগিয়ে যায় যা দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে ভেঙে দিচ্ছে, তবে তারা তাদের অবশিষ্ট মিত্রদেরও দূরে ঠেলে দেওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছে।’
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং ইসরাইলের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেছে। তবে গ্রিস সেই দলে যোগ দেয়নি।
এদিকে শুক্রবার জাতিসংঘে দেওয়া বক্তব্যে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পশ্চিমা নেতাদের বিরুদ্ধে ‘ইহুদিবিদ্বেষ উসকে দেওয়ার’ অভিযোগ তোলেন।
অন্যদিকে, গাজায় ধারাবাহিক গণহত্যার জন্য ইতোমধ্যে আইসিজেতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনের অভিযোগে মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আইসিসি। সে কারণে নিউইয়র্ক যাওয়ার পথে ফ্রান্সের আকাশসীমা এড়িয়ে গিয়েছিল তার উড়োজাহাজ। তবে যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু ইসরাইলের সবচেয়ে বড় মিত্র আর আইসিসির সদস্য নয়, তাই সেখানে তার গ্রেফতার হওয়ার শঙ্কা নেই।