চকরিয়ায় পৌরসভার কাজের বিল নিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের চকরিয়ায় পৌরসভার একটি প্রকল্পের বিল প্রদানের সময় ঠিকাদারের কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স নূর আয়েশা এন্টারপ্রাইজ-এর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ ইসমাইল।
লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চকরিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ড্রেন স্লাব নির্মাণের কাজ কোটেশন ভিত্তিতে তাঁর প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন করে পৌরসভার সংশ্লিষ্ট শাখায় বিল জমা দেওয়ার পর বিল উত্তোলনের নামে পৌরসভার হিসাবরক্ষণ শাখার প্রধান সাফায়েত এবং প্রকৌশল শাখার অফিস সহকারী আবদুল হামিদ তাঁকে মোট ১৫ শতাংশ কমিশন দাবি করেন।
ইসমাইলের দাবি, কাজটি করতে গিয়ে তিনি প্রায় ৩৫ হাজার টাকা লোকসান গুনেছেন। পরে কর্মকর্তাদের চাপে তিনি বিলের বিপরীতে ৫ শতাংশ অগ্রিম দিতে সম্মত হলেও বাকী টাকার দাবিতে চাপ প্রয়োগ অব্যাহত থাকে। এমনকি চেক ইস্যু হওয়ার পর ব্যাংক থেকে উত্তোলন না করতে পৌর কর্মকর্তারা ব্যাংক ম্যানেজারের কাছেও তদবির করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এরপর অভিযোগকারীকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হয়। তাঁর দাবি, পৌরসভার ওই দুই কর্মকর্তা স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বাড়ি ও শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে চাপ সৃষ্টি করে এবং টাকা দাবি করে। এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমের ঘনিষ্ঠ আলী আহমদ মেম্বারসহ কয়েকজন তাঁর বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেন।
মোহাম্মদ ইসমাইল আরও জানান, টাকা না দেওয়ার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়, যা তাঁর ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে।
তিনি বলেন, “আমি কারও কাছে কোনো অবৈধ দাবি পূরণ করব না। আবারও যদি তারা আমার পরিবারকে হয়রানি বা হুমকি দেয়, তবে আমি আইনের আশ্রয় নেব।”
এই বিষয়ে চকরিয়া পৌরসভার কর্মকর্তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।