সোমবার, ডিসেম্বর ১, ২০২৫

কক্সবাজার-৩ আসনে নির্বাচনী হাওয়া, বিএনপি-জামায়াত প্রার্থীর পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ বার্তা

বিশেষ প্রতিবেদক
আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে কক্সবাজার-৩ (সদর, রামু ও ঈদগাঁও) আসনে শুরু হয়েছে নির্বাচনী উত্তাপ। ইতোমধ্যে প্রধান দুই বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জামায়াতে ইসলামী এই আসনে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
গত ৩ নভেম্বর (সোমবার) বিএনপি কক্সবাজার-৩ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফর রহমান কাজলকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেয়। এর আগে জামায়াতে ইসলামী মনোনয়ন দিয়েছে শহীদুল আলম বাহাদুরকে।
বিএনপি কাজলকে মনোনয়ন দেওয়ার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। তবে সবচেয়ে আলোচনাযোগ্য বিষয় ছিল জামায়াত প্রার্থী বাহাদুরের সৌহার্দ্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া। তিনি তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন—“শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কক্সবাজারের পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন জনাব লুৎফুর রহমান কাজল ভাই কক্সবাজার-৩ আসনে বিএনপি কতৃক মনোনয়ন পাওয়ায় তাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আশা করি, সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব, আন্তরিকতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।”
এই পোস্টের নিচে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কাজলও মন্তব্য করেন। লিখেন, “আলহামদুলিল্লাহ। আপনার অভিনন্দনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আমিও তাই আশাকরি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন অবাধ গ্রহণযোগ্য হয়। ভাল থাকবেন। শুভ কামনা রইলো।”
রাজনৈতিক মহল বলছে, দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এমন পারস্পরিক সৌজন্য সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত।
কক্সবাজার-৩ আসনটি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন লুৎফর রহমান কাজল। তবে পরবর্তী কয়েকটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী হন। অন্যদিকে, জামায়াতেরও এ এলাকায় সক্রিয় সাংগঠনিক উপস্থিতি রয়েছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিএনপি ও জামায়াত উভয়েরই শক্তিশালী অবস্থান থাকায় আসনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হাড্ডাহাড্ডি হতে পারে। তবে সাম্প্রতিক সৌহার্দ্যপূর্ণ বার্তাগুলো ইঙ্গিত দেয়, অন্তত প্রাথমিক পর্যায়ে রাজনৈতিক পরিবেশ এখনো শান্তিপূর্ণ।বিএনপি ও জামায়াত—দু’দলই বলছে, তারা চায় অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন।

সর্বাধিক পঠিত