কক্সবাজারের তরুণ আরব বাবু বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার এক নাম। অল্প সময়ের মধ্যেই শর্ট ফিল্ম ও আলোকচিত্রে অর্জন করেছেন উল্লেখযোগ্য সাফল্য, যা তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।
সম্প্রতি তিনি দেশসেরা শর্ট ফিল্ম প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। এছাড়া জাতিসংঘের আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে তার তোলা একটি ছবি যা কক্সবাজার তথা বাংলাদেশের তরুণ চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য গর্বের বিষয়।
বাবু দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক সংগঠন, ভিডিওগ্রাফার, এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও ভিডিও সাংবাদিকতার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তার কাজের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা, জনজীবনের গল্প এবং সচেতনতা প্রচারের চেষ্টা করেছেন।
পরিশ্রম আর একাগ্রতাই তার সাফল্যের মূলমন্ত্র। তার একটি ছবিতে দেখা যায়, বিশাল বর্জ্যের পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে শুট করছেন তিনি।
যেখানে সাধারণ মানুষ ২০০ মিটার দূর থেকেও যেতে নাকে হাত দেয়, সেখানে আরব বাবু শুট করছেন নিখুঁত মনোযোগে।
স্থানীয়রা জানান, ছোটবেলা থেকেই বাবুর আগ্রহ ছিল গল্প বলা ও ক্যামেরার কাজে।
বর্তমানে তিনি নিয়মিতভাবে সামাজিক ও পরিবেশভিত্তিক বিষয় নিয়ে শর্ট ফিল্ম তৈরি করছেন।
নিজের কাজ ও আগামীর পরিকল্পনা সম্পর্কে আরব বাবু বলেন, “আমি চাই ক্যামেরার মাধ্যমে সমাজের গল্প তুলে ধরতে। গল্পের ভেতরেই আছে পরিবর্তনের শক্তি।”
তার কাজের প্রশংসা করে স্থানীয় ড্রোন অপারেটর তৌহিদুল ইসলাম বলেন,“আমি কাছ থেকে দেখেছি বাবুর পরিশ্রম ও একাগ্রতা। কঠোর পরিশ্রমই তাকে আজ এই জায়গায় এনেছে। আমার বিশ্বাস, একদিন কক্সবাজার থেকেই উঠে আসবে একজন বড় ফিল্মমেকার আমাদের বাবু ”
চলচ্চিত্রপ্রেমী তরুণদের মতে, সীমিত সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও আরব বাবুর মতো উদ্যমী নির্মাতারা ভবিষ্যতে দেশের চলচ্চিত্র ও মিডিয়ায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবেন।
