
চিটাগং ট্রিবিউন ডেস্কঃ
ভোলার চরফ্যাশনের দক্ষিণ আইচা উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় থানা ওসি এরশাদুল হকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ২০ জনকে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দক্ষিণ আইচা বাজারে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের তালিকা
গুরুতর আহতদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির নাজিম উদ্দিন আলম গ্রুপের মিরাজ, ইউসুফ, মোস্তফা দিদার, আশরাফুলসহ আরও অনেকে। অন্যদিকে, নুরুল ইসলাম নয়ন গ্রুপের নূর নবী রনি, পাভেল, আমিনুল ইসলাম মাইনুল, রাশেদ, লিটন, হাসনাইনসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের কারণ
দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপির সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক মাস্টার জানান, করিমপাড়া এলাকায় বিএনপির আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষে বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রধান অফিসে জড়ো হলে অপর পক্ষ অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের অভিযোগ, হামলাকারীরা মরিচের গুঁড়া মেরে ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে। এতে নাজিম উদ্দিন আলম গ্রুপের প্রায় ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হন।
ফারুক মাস্টার আরও দাবি করেন, পাল্টাপাল্টি হামলার একপর্যায়ে নয়ন গ্রুপের ভেতরেও বিভক্তি তৈরি হয় এবং তাদের মধ্যেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে, নুরুল ইসলাম নয়নের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাদের অনুমোদিত মিছিল চলাকালে তারা হামলার শিকার হন। নয়ন গ্রুপের এক নেতার বক্তব্য অনুযায়ী, “আমাদের গ্রুপে কোনও বিভক্তি নেই। আমাদের ওপরই হামলা হয়েছে এবং প্রায় ২৮ জন আহত হয়েছেন।”
পুলিশের অবস্থান
দক্ষিণ আইচা থানার এসআই খালেক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের প্রচেষ্টা চলাকালে ওসি এরশাদুল হক আহত হন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি আরও জানান, তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বর্তমান পরিস্থিতি
সাম্প্রতিক এই সংঘর্ষে পুরো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
চিটাগং ট্রিবিউন
