
ইবি প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ধর্মতত্ত্ব অনুষদভুক্ত স্বতন্ত্র ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নির্ধারিত স্টলে ছাত্র ইউনিয়ন, ইবি সংসদের অনুপস্থিতি দ্বিচারিতার অভিযোগ ওঠেছে। গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের সেবা দিলেও ‘ডি’ ইউনিটে তাদের অনুপস্থিতি সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
গত ১১ মে ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করতে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনগুলো সেচ্ছাসেবী স্টল দিতে দেখা যায়। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা দিতে ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে স্টলে ছাত্র ইউনিয়নের কোনো স্বেচ্ছাসেবক উপস্থিত ছিলেন না। এনিয়ে খেলাফতে ছাত্র মজলিস ইবি শাখা সহ বেশ কিছু শিক্ষার্থীদের সমালোচনা করতে দেখা যায়।
ইবি শাখা খেলাফতে ছাত্র মজলিসের সভাপতি সাদেক আহমেদ জানান, “৫ আগস্ট পরবর্তী ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন গুলোর সহাবস্থানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। ২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে দূরদূরান্ত থেকে আগত শিক্ষার্থীদের সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য তৈরি হেল্পডেক্স ছিল তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কিন্তু আক্ষেপ নিয়ে বলতে হয় যে, যথারীতি ‘এ’ ‘বি’ ‘সি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় হেল্পডেক্স গুলোর কার্যক্রম চালু থাকলেও ‘ডি ইউনিট’ পরীক্ষায় চোখে পড়ে এক অবাক দৃশ্য- হেল্পডেস্কে ছাত্র ইউনিয়নের অনুপস্থিতি। যারা নিজেদের শিক্ষার্থীবান্ধব সংগঠন বলে দাবি করে, তারাই যখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে পিছিয়ে থাকে, তখন প্রশ্ন ওঠে—তাহলে এই সংগঠনের দায়বদ্ধতা কোথায়? এ সংগঠন কি আসলেই শিক্ষার্থীদের সংগঠন নাকি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্য? ডি ইউনিটের সিংহভাগ শিক্ষার্থী মাদরাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের হওয়ায় কি অনুপস্থিতির মূল রহস্য? বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন যখন প্রতিযোগিতার এই কঠিন মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে তথ্য-সেবা দিচ্ছে, সেখানে তখন ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যদের গা ঢাকা দেওয়াটা শুধু অবহেলা নয় বরং এটা সংগঠনের নৈতিক অবস্থানকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। ছাত্র ইউনিয়ন যদি এ জাতীয় কাজে অনুপস্থিত থাকে, তাহলে তারা ভবিষ্যতে কিভাবে ছাত্রদের পক্ষে কথা বলবে? নির্লিপ্ততা একটা ব্যক্তিগত ব্যাপার হতে পারে, কিন্তু সংগঠনগত নির্লিপ্ততা একটি ব্যর্থতার দলিল। সময়ের দাবি হচ্ছে- ছাত্র রাজনীতি হোক শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে। আশাকরি ছাত্র ইউনিয়ন পরবর্তীতে বিদ্বেষ ও বৈষম্যমূলক এমন সীদ্ধান্ত থেকে সরে এসে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াবে। অন্যতায় শিক্ষার্থীরা ইবিতে আপনাদের হটকারিতা মেনে নিবে না।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, “ডি ইউনিটে সাধারণত শিক্ষার্থী কম ছিল। অভিভাবকও তেমন লক্ষ্য করা যায়নি। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বসা হয়নি। এখানে বিদ্বেষমূলক বা উদ্দেশ্যমূলক কোনো কিছুই ছিল না। স্বেচ্ছাসেবী কাজে নিজের পলিসিতে চলতে পারে সংগঠন।”