
# পরবর্তী সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত নেবে উপাচার্য
ইবি প্রতিনিধি,
সমকামিতা-সহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৬ মে) সকাল ১০ টায় এক সদস্য বিশিষ্ট উচ্চতর তদন্ত কমিটি ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষার্থীদের সাথে ২ঘণ্টা যাবৎ মতবিনিময় করেন। পরে ওই তদন্ত কমিটি ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইবনে সিনা ভবনে পুনরায় জবানবন্দি নিতে চাইলে পূর্বে করা তদন্ত কমিটির কাছ থেকে তথ্য নিতে বলে প্রত্যাখ্যান করেন শিক্ষার্থীরা। তারা নতুন তদন্ত কমিটিকে জবানবন্দি দেননি।
এসময় পূর্বে করা তদন্ত কমিটিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় অভিযুক্তকে স্থায়ী বহিষ্কার না করা পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচিতে থাকবেন বলেও ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা।
এদিকে পূর্বের তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গত ২২ ডিসেম্বর ২৬৬ তম সিন্ডিকেট সভায় বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট বাতিল এবং এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটির সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই শাস্তিকে পর্যাপ্ত মনে না করে হাফিজুল ইসলামকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করার দাবি জানায়। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৮ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।
আজ অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা জানান, ‘২ ঘণ্টা যাবৎ আমাদের সাথে মতবিনিময় করে আবারও ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জবানবন্দি নিতে চান উচ্চতর কমিটি। পূর্বের তদন্ত কমিটিতে যেহেতু অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, আবারও তদন্তের জন্য জবানবন্দি দেইনি। এটা প্রশাসনের প্রহসন ছাড়া কিছুই না। তারা চাইলে পূর্বের তদন্ত কমিটি থেকে তথ্য নিতে পারেন। ডিআইজি স্যার আমাদেরকে মামলা ও রেজিস্ট্রারের পথ দেখায়। তাই এই তদন্ত কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছি।’
এবিষয়ে জানতে চাইলে উচ্চতর তদন্ত কমিটির সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি আশরাফুর রহমান বলেন, ‘যেহেতু বিষয়টি সাব-জুডিস অবস্থায় রয়েছেন, তাই মন্তব্য করেছি না।’
সর্বশেষ রাত সাড়ে ৮টায় পরবর্তী সিন্ডিকেটে অভিযোগের ভিত্তিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ সর্বোচ্চ শাস্তির আশ্বাস দিলে অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা।