
বশিরুজ্জামান, ঈদগাঁও
ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজ পাড়ায় গ্রামীণ সড়ক সংস্কারের অভাবে বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে বৃষ্টির পানি নেমে যাওয়ার সুবিধা না থাকায় খানাখন্দে জমেছে হাঁটু পরিমাণ পানি ফলে সৃষ্টি হয়েছে নাজুক অবস্থা। চলাচলের বিকল্প রাস্তা বা ব্যবস্থা না থাকায় এ গ্রমীণ সড়ক দিয়েই যাতায়াত করতে গর্ভবতী মহিলা, রোগী ও স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ এলাকার লোকজন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মাইজ পাড়া সরকারি প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করে মাইজ পাড়া রেললাইন ক্রসিং পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটারের সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাব ও ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট খানাখন্দ ও জলাবদ্ধতার দুর্ভোগে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ এলাকার লোকজন।
স্থানীয় মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ ইসলাম জানান, একটুখানি বৃষ্টি হলেই মাসজিদের সামনের সড়কে পুরো এলাকার অপরিষ্কার পানি এসে জমাট বাঁধে। পানি নেমে যাওয়ার সুবিধা না থাকায় বৃষ্টি কমে গেলেও এই সড়কে পানি জমে থাকে ফলে বিশ্রী দুর্গন্ধের কারণে মসজিদে আসা মুসল্লীদের সমস্যা পোহাতে হয়। এছাড়াও অপরিষ্কার পানি উপর দিয়ে চলাচলের ফলে পায়ে চুলকানির মতো সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কোনো শেষ নেই।
স্থানীয় মুরুব্বি জাফর আলম জানান, এই সড়কের বেহাল অবস্থায় আমরা খুবই সমস্যায় আছি। দীর্ঘদিন যাবৎ সড়ক সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে এসব গর্ত ভরপুর হয়ে সড়ক তলিয়ে যায়। ফলে সড়ক দিয়ে চলাচলে প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যার কারণে অটোরিক্সা ও মানুষজন প্রয়াসই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
স্কুল ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থী আদনান, ফাইমা ও লামিয়া বলেন, এই হাঁটু পরিমাণ দুর্গন্ধযুক্ত পঁচাপানির উপর দিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যেতে অনেক কষ্ট হয়। কয়েকদিন আগে আমার(ফাইমা) পা মচকে গিয়ে পড়ে গেলে ইনিফর্ম ও বাই-খাতা ভিজে যায় ফলে স্কুলে যেতে পারি নাই। পরে বাসায় ফিরে গেলে মায়ের কাছ থেকে অনেক বকাবকি শুনতে হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার আমির হোসেন জানান, দক্ষিণ মাইজ পাড়ার সড়কের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ এবং জনদুর্ভোগের শেষ নেই। রাস্তার দুইপাশে পানি নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতার কারণে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে সড়কটি উঁচু করে সংস্কার করা হলে এই সমস্যা সমাধান হবে। আপাতত বাজেট নেই। বাজেটের ব্যবস্থা হলে সড়কটি সংস্কারের আস্বস্ত করেন তিনি।
ইউপি চেয়ারম্যান মো: আব্দুল হাকিম বলেন, সড়কের উভয় পাশে স্থানীয়রা বাঁধ দিয়ে পানি নিষ্কাশন বন্ধ করার কারনেই সড়কে পানি জমে যাচ্ছে। উক্ত বিষয়ে স্থানীয়দের সাথে বসে সমাধান করার জন্যে ইউপি মেম্বারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ মাইজ পাড়া সরকারি প্রাইমারি স্কুল থেকে রেললাইন পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটারের গ্রামীণ সড়কটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ হলেও দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার না হওয়া, ভারী যানবাহন চলাচল ও বৃষ্টির কারণে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। এর ফলে স্কুল-মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থী, মুমূর্ষু রুগি ও জনসাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অতিদ্রুত এ সড়ক সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান এলাকাবাসী।