
নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের উখিয়ায় ৪ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানহানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছেন রাজাপালং ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্য।
গরীবের ‘ভিজিএফ চাল’ নিয়ে অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে গত ২৮ মে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (উখিয়া) আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়।
আলোচিত এই মামলার বাদী ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য স্থানীয় দোছড়ি এলাকার বাসিন্দা মৃত হাজী মোহাম্মদ আলীর পুত্র সৈয়দ হামজা। মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআই’কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলায় দৈনিক মানবজমিনের উখিয়ার স্টাফ রিপোর্টার ও উখিয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সারোয়ার আলম শাহীন, সময়ের কন্ঠস্বরের উখিয়া প্রতিনিধি মোহাম্মদ ফেরদৌস, দি টেরিটোরিয়্যাল নিউজের বিশেষ প্রতিনিধি ইশতিয়াক নূর নিশান ও দৈনিক খবরের কাগজের উখিয়া প্রতিনিধি রিদুয়ান সোহাগ সহ ৬ জন’কে আসামি করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই মামলা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে, ‘মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ দাবী করে নিন্দা জানিয়েছেন বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নেটিজেনরা।
কক্সবাজার ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাক) এর সভাপতি জসিম উদ্দিন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ গরিবের চাল চুরি করে উল্টো মামলা — তীব্র নিন্দা জানাই।’
এক স্ট্যাটাসে ৪ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন উখিয়া প্রেসক্লাবের আহবায়ক সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ার।
এছাড়াও উখিয়া প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ লিখেছেন ‘উখিয়ায় কর্মরত ৪ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করছি’।
এদিকে পুলিশের তথ্য বলছে, সৈয়দ হামজা’র বিরুদ্ধে অস্ত্র-ডাকাতি, নারী ও শিশু নির্যাতন সহ ৫ টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে উখিয়া থানায় ৪ টি ও কক্সবাজার সদর থানায় ১টি।
মামলাগুলো হলো- উখিয়া থানা নং-২১/৪৪৩ ও ২৬/৩৯৫ (২০১৮) , উখিয়া থানা নং-১৮ (২০১৩),
উখিয়া থানা নং-০৩ (২০১২), কক্সবাজার সদর থানা নং-৪২ (২০০৭)।
উখিয়ার স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল আল আজিজ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ মামলার বাদি ছৈয়দ হামজার বিরুদ্ধেই অস্ত্রসহ চারটি মামলা রয়েছে, যার একটি মামলায় রয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও!’
তিনি আরো লিখেন, ‘ যিনি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে থানায় যান নিয়মিত, এইটা-ই ক্ষমতার বাংলাদেশ!’
এবিষয়ে জানতে চাইলে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আরিফ হোসাইন বলেন, ‘ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, পরোয়ানা থাকলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘
অন্যদিকে ছৈয়দ হামজার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল ধরেননি।
