কক্সবাজার-২ আসনে এখনো ধোঁয়াশা: ‘রুইলে ৬০, ন’ রুইলে ৮০’ বলতে কি বুঝালেন আলমগীর ফরিদ!

বিশেষ প্রতিবেদক
সারাদেশের মতো কক্সবাজারেও বইছে নির্বাচনী হাওয়া। জেলার ৪টি আসনের মধ্যে ৩টিতে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা কারা করবেন, তা ইতোমধ্যে স্পষ্ট হলেও কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনটি নিয়ে এখনো সময়ের অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
বিএনপি বাকি তিনটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও এই একটি আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি। দলীয় সূত্র বলছে, এই আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছেন অন্তত তিনজন অভিজ্ঞ নেতা। তাদের মধ্যে অন্যতম সাবেক সংসদ সদস্য আলমগীর ফরিদ।
এর আগে এই আসন থেকেই বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে এবার, মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
মনোনয়নপ্রত্যাশী আলমগীর ফরিদের একটি ফেসবুক পোস্ট এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সেখানে তিনি লিখেছেন—“ইনশাআল্লাহ, রুইলে ৬০, ন’ রুইলে ৮০। মহান রবের আজিমুশান দরবারে ফরিয়াদ করুন এবং ধানের শীষের গণজোয়ার গড়ে তুলুন, ধন্যবাদ।”
এই সংক্ষিপ্ত বাক্যেই যেন তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন, জন্ম নিয়েছে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের ঝড়।
‘রুইলে ৬০, ন’ রুইলে ৮০’— অর্থ কী?
চাটগাঁইয়া (চট্টগ্রামের আঞ্চলিক) ভাষায় “রুইলে ৬০, ন’ রুইলে ৮০” মানে— রোপণ করলে ৬০, রোপণ না করলে ৮০।
আক্ষরিক অর্থে এই বাক্যটি কৃষিকাজের সঙ্গে সম্পর্কিত— জমিতে বীজ রোপণ করলে ৬০ ফলন, না করলে ৮০ পাওয়া যায়, যা বাস্তবিকভাবে অসম্ভব।
তবে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই কথার রূপক অর্থ নিয়েই চলছে ব্যাখ্যা।
রাজনৈতিক রূপক নাকি সংকেত?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আলমগীর ফরিদের এই পোস্টে “রোপণ” শব্দটি হয়তো মনোনয়ন পাওয়া বা দলে প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা বোঝাতে পারে। অর্থাৎ, “রুইলে ৬০” মানে প্রার্থী হলে কিছুটা সাফল্য, আর “ন’ রুইলে ৮০” মানে না হলেও আরও বড় অর্জনের সম্ভাবনা। হয়তো ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে অবস্থান শক্ত করার ইঙ্গিত।
আরেক অংশ বলছেন, এটি তাঁর ব্যক্তিগত আত্মবিশ্বাসের প্রকাশ। তিনি প্রার্থী হন বা না হন, বিএনপির প্রতীক ধানের শীষের জন্য কাজ করবেন এবং গণজোয়ার গড়ে তুলবেন।
এই এক লাইনের পোস্ট ঘিরে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন নানা জল্পনা।
সব মিলিয়ে, কক্সবাজার-২ আসনে এখনো নিশ্চিত নয় বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী। স্থানীয় রাজনৈতিক মহল বলছে, আলমগীর ফরিদসহ সম্ভাব্য কয়েকজন নেতার নাম আলোচনায় থাকলেও সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাতেই। তবে, আলোচনায় এসেছে এই আসনে জোটের কথা। অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী এই আসনে আস্থা রাখছে আরেক সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আজাদের উপর।