সোমবার, ডিসেম্বর ১, ২০২৫

গোপালগঞ্জ সংঘর্ষে এনসিপি ও আওয়ামী লীগ দুই পক্ষই দায়ী- তদন্ত কমিটি

চিটাগং ট্রিবিউন ডেস্ক
গত জুলাই মাসে গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের পেছনে এই দলটি এবং আওয়ামী লীগের স্থানীয় কর্মী ও তাদের সমর্থক গোপালগঞ্জবাসী – দুই পক্ষই দায়ী বলে বিচার বিভাগীয় তদন্তে উঠে এসেছে।

উসকানী, গুজবসহ দুই পক্ষের অনঢ় অবস্থান এবং মাঠের বাস্তবতার সাথে গোয়েন্দা তথ্যের সমন্বয় করে পরিস্থিতি অনুযায়ী যথাসময়ে প্রশাসনের সিদ্ধান্তহীনতার অনীবার্য পরিণতি ছিল গোপালগঞ্জের সংঘাত–– বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।

সরকার গঠিত তদন্ত কমিশনের একজন সদস্য সাজ্জাদ সিদ্দিকী বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন এই তদন্ত প্রতিবেদনে ৮-১০টি সুপারিশ এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে পাঁচটি করণীয় তুলে ধরা হয়েছে।

তবে গোপালগঞ্জে কীভাবে ও কার গুলিতে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়টি কমিশন তদন্ত করেনি। গুলির বিষয়টি তদন্তকারী কমিশনের টিওআর বা কার্যপরিধির মধ্যে ছিল না।

এ বছর ১৬ই জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপি’র সমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষে গুলিতে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনার পর সরকার সাবেক একজন বিচারপতিকে প্রধান করে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে। ঘটনার মূল কারণ কী, কারা এর পেছনে দায়ী, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে করনীয় কী তার সুপারিশ দেওয়ার দায়িত্ব ছিল এই কমিশনের।

গত সেপ্টেম্বরের শেষে ওই তদন্ত প্রতিবেদন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে দাখিল করা হয়েছে। যদিও সরকার গোপালগঞ্জের তদন্ত প্রতিবেদন জনসমক্ষে এখনো প্রকাশ করেনি।

তদন্ত কমিশনের সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাজ্জাদ সিদ্দিকী গোপালগঞ্জের তদন্ত সম্পর্কে জানিয়েছেন বিবিসি বাংলাকে।

সর্বাধিক পঠিত