শনিবার, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫

চবিতে প্রীতিলতা হলে সান্ধ্য আইন জারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি

চবি প্রতিনিধি- মেহেদী হাসান

সান্ধ্য আইন জারির বিরুদ্ধে নারী অধিকার আদায়ে ব্যতিক্রমী প্রতিবাদের নাম দেওয়া হয়েছে “নারীরা রাত দখল করো”।

মঙ্গলবার রাত ১১ টার সময় হলের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা, এবং নারী অধিকার কর্মীরা এতে অংশগ্রহণ করে তারা বিভিন্ন স্লোগান দেই, “নিপিড়ীত নারীরা এক হও, লড়াই করো। প্রশাসনের সান্ধ্য আইন মানি না, মানবো না। ”

সম্প্রতি প্রশাসনের পক্ষ থেকে হলে সান্ধ্য আইন কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই আইন অনুযায়ী, ছাত্রীরা রাত ১০ টার পর প্রবেশ এবং ভোর ৬ টার আগে হল থেকে বের হতে পারবেন না। এই সিদ্ধান্ত নারী স্বাধীনতার পরিপন্থী এবং বৈষম্যমূলক বলে মনে করছেন ছাত্রীরা।

প্রতিবাদী এক শিক্ষার্থী সুমাইয়া শিকদার বলেন,”ক্যাম্পাসে শাটল ট্রেন প্রবেশ করে সাড়ে নয়টার সময় তাহলে আমরা কীভাবে দশ টার ভেতর হলে প্রবেশ করবো। হলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান না করে কেন, প্রশাসন সান্ধ্য আইন জারি করলো। এই সান্ধ্য আইন কে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ”

আরেকজন শিক্ষার্থী ইশা দে বলেন, “নারী সাফল্যের পেছনে বাঁধা পুরুষতান্ত্রিক শোষণ। এর ফলে আমরা নারী সাফল্য দেখা থেকে অনেক ভাবে বঞ্চিত হচ্ছি। নারীদের কে সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করার সুযোগ দেওয়া উচিৎ। তবে নারী সাফল্যের দেখা মিলবে। ”

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. নুরুল হামিদ (কানন) জানিয়েছে,”আমরা দায়িত্ব হাতে নেওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ সহযোগীতা করছে, সান্ধ্য আইন দেওয়ার কোনো প্রয়োজনীতা নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অথরিটি এ ব্যাপার নিয়ে উদ্বিগ্ন। আগামীকাল সকালের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন অডিও বার্তায় বলেন, “শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ কর্মসূচি আমাদের নজরে এসেছে। প্রীতিলতা হলের প্রভোস্ট ও প্রশাসনের সাথে আমি কথা বলেছি। আগামীকাল সকালের মধ্যে এই চিঠি প্রত্যাহার করা হবে।”

“নারীরা রাত দখল করো” কর্মসূচি কেবল একটি প্রতিবাদ নয়, এটি নারীদের চলাচলের স্বাধীনতা এবং সমাজের ভ্রান্ত ধারণার বিরুদ্ধে একটি সাহসী আওয়াজ।

সর্বাধিক পঠিত