সোমবার, ডিসেম্বর ১, ২০২৫

টেকনাফে বিজিবির ‘জিরো টলারেন্স’ অভিযান: পৃথক দুই অভিযানে ৪ মাদক পাচারকারী আটক

মো: কিফায়ত উল্লাহ, টেকনাফ
সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার ও মাদক চোরাচালান দমনে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) পৃথক দুটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বাংলা মদসহ চারজন পাচারকারীকে আটক করেছে।
নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি জানতে পারে, টেকনাফ সদরের মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে শাপলাপুর দিক থেকে শিশুপার্কমুখী একটি অটোরিকশায় বিপুল পরিমাণ বাংলা মদ পাচার করা হচ্ছে। তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান, পিএসসি-এর নির্দেশে কয়েকটি টহলদল মোতায়েন করে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গত ১৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে, টেকনাফ সদরের লম্বরীঘাট এলাকায় সন্দেহভাজন অটোরিকশা তল্লাশি করা হয়। পুলিশের সংকেত উপেক্ষা করে দুইজন পালিয়ে গেলেও চালকসহ দুইজনকে আটক করা হয়। অটোরিকশার সিটের নিচ থেকে ২৪ লিটার বাংলা মদ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই দিন রাতে দ্বিতীয় দফায় টেকনাফ থানাধীন মেরিন ড্রাইভ রোডের তুলাতুলি ঘাট এলাকায় অভিযান চালানো হয়। বিজিবির সংকেত পেয়ে পাচারকারীরা পালানোর চেষ্টা করলে দুজনকে আটক করা হয় এবং অটোরিকশার সিটের নিচ থেকে ৪ লিটার বাংলা মদ উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন: হ্নীলা ইউপির ৯নং ওয়ার্ড চাকমাপাড়া এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে নুরুল আমিন,হ্নীলা ১নং ওয়ার্ডের নুর আহমদের ছেলে শফিকুল, আরেক অভিযানে আটককৃতরা হলেন, সাবরাং মন্ডলপাড়া এলাকার মোঃ কালুর ছেলে আক্তার হোসেন,সাবরাং করাচিপাড়া এলাকার আবুল হাসোনের ছেলে মোঃ সোহেল। এ ক্ষেত্রেও উক্ত পৃথক অভবিযানে ৫-৬ জন পাচারকারী পালিয়ে যায় বলে জানান বিজিবি।
এবিষয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান, পিএসসি বলেন, “সীমান্ত নিরাপত্তা ও মাদকবিরোধী কার্যক্রমে বিজিবি সম্পূর্ণ জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। দেশের নিরাপত্তা রক্ষা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মাদকমুক্ত রাখতে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
জব্দকৃত মদ ও আটক আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সর্বাধিক পঠিত