শনিবার, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫

হেফাজতকে কাছে পেতে তৎপর বিএনপি

চিটাগং ট্রিবিউন ডেস্ক

অরাজনৈতিক সংগঠন হলেও আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামকে কাছে পেতে তৎপরতা শুরু হয়েছে রাজনীতিতে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের নির্বাচনী সমঝোতা করতে যাচ্ছে। এখানে কয়েকটি দল আছে হেফাজতে ইসলাম-সংশ্লিষ্ট। তারা অভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।

এমন পটভূমিতে নির্বাচন সামনে রেখে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্ব বিএনপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে হেফাজতের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বিএনপি যোগাযোগও বাড়িয়েছে। আবার হেফাজতের আমিরও এর মধ্যে কয়েকটি বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।

সব মিলিয়ে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক ‘ভোটব্যাংক’ লক্ষ্য করে রাজনৈতিক দলগুলোর হেফাজতকেন্দ্রিক আগ্রহ বেড়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় হেফাজতের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এর আগে গত ১ আগস্ট বিএনপির দুই নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ ও নজরুল ইসলাম খান চট্টগ্রামে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।

হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ চার নেতা ‘আল্লামা শাহ আহমাদ শফী, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমী ও আল্লামা নূরুল ইসলাম জিহাদীর নেতৃত্ব, ত্যাগ ও সংগ্রাম’ শীর্ষক জাতীয় কনফারেন্সে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। গত শনিবার জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে

এদিকে জামায়াতে ইসলামীসহ যে সাতটি দল জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এবং সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে অভিন্ন কর্মসূচি শুরু করেছে, এর মধ্যে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক দল রয়েছে পাঁচটি। সেগুলো হলো ইসলামী আন্দোলন (সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম) বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (মামুনুল হক), খেলাফত মজলিস (আবদুল বাসেত-কাদের), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (হাবিবুল্লাহ মিয়াজী) ও নেজামে ইসলাম পার্টি (সারওয়ার কামাল-মূছা বিন ইযহার)। এর মধ্যে ইসলামী আন্দোলন ছাড়া বাকি চারটি দলের হেফাজতের সঙ্গে যুক্ততা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, হেফাজতে ইসলামের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী চান না, কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক কোনো দল জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী জোট বাঁধুক। বাবুনগরী শুরু থেকেই জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে, দলটির প্রতিষ্ঠাতা সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদুদীর বিশ্বাসগত আদর্শিক কারণে।

সর্বাধিক পঠিত